রাঙ্গামাটির কাপ্তাই চিৎমরম মুসলিম পাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও মুসল্লিদের মাঝে দ্বন্দ্ব চরমে

নিজস্ব প্রতিনিধি কাপ্তাই (রাঙামাটি) : রাঙামাটির কাপ্তাই চিৎমরম মুসলিম পাড়া জামে মসজিদ কমিটির মোতওয়ালীর ক্ষমতার অপব্যবহার ও মনগড়া নিয়মে মসজিদ পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গরিব-দুঃখী মুসল্লিদের সাথে অসদাচরণ, মিলাদুন্নবী উদযাপন হলে সে ক্ষেত্রে তৌফিক মোতাবেক গরীব দুঃখী মুসল্লিরা আল্লাহর ওয়াস্তে টাকা পয়সা দিলে তা গ্রহণ না করা, ঠিক একইভাবে পবিত্র রমজান মাসে তারাবির নামাজের খতম শেষে, গরিব দুঃখী মুসল্লিদের দান কৃত টাকা অল্প স্বল্প হলে ওই টাকা ফেরত দেওয়াসহ মসজিদ পরিচালনায় নানা অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায়, এনিয়ে নিরীহ মুসল্লী,সচেতন নাগরিক সমাজ এক হয়ে মোতোয়ালির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলায় দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে।

মসজিদ পরিচালনায় নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা চলার অভিযোগ এনে আদালতে মামলাও হয়েছে বলে জানা যায় । দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে চিৎমরম মুসলিম পাড়া জামে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লির সংখ্যা কমেতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানায়, গত এক দুই বছরের ও বেশি সময় ধরে মোতোয়ালি হাজী মোহাম্মদ সৈয়দ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার কর্তৃক মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ মুসল্লিদের সামনে উত্থাপিত হয় না। একনায়ক তন্ত্র মনোভাব নিয়ে মসজিদ পরিচালনা করে আসছেন,যার ফলে নিরীহ মুসল্লী ও প্রভাবশালী মুসল্লিদের মাঝে দ্বন্দের সৃষ্টি। সৃষ্ট এ ঘটনা বা মতবিরোধ সমাধান কল্প মোতোয়ালি ও তার মদত পুষ্ট কমিটি এ যাবৎ সমাধান্মুখী কোন সুরাহা করেননি বলে অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় এলাকায় দুটি পক্ষ তৈরি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। গত শর মিলাদুন্নবী, কোন মুসলিম ভাই বোনদের মৃত্যু হলে কবরস্থ করার সময়ও বাঁধা প্রধান, এমনকি মসজিদ নির্মাণের সময় জমি দাতা যিনি তার পরিবারের কেউ মারা গেলেও মসজিদ এলাকায় কবর দিতে বাধা প্রদান করা হয়, এছাড়াও গেল বছর ঈদুল আযহার মাঠে মসজিদের জন্য গরিব দুঃখী মুসল্লিরা তৌফিক মোতাবেক অনুদান দিতে গেল বাধা প্রদান করে মোতোয়ালির মদনপুষ্ট কমিটির লোকজন। এক পর্যায়ে দান অনুদান সংগ্রহকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রুপ নেয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, চিৎমরম মুসলিম পাড়া জামে মসজিদ পরিচালনার জন্য তিন বছর মেয়াদী অর্থাৎ গেল ১৫/১২/২০২২ সালে মোতোয়ালি নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে নানা অভিযোগ উঠে আসে।
মসজিদের জমি দাতা ও বর্তমান মেম্বার মোহাম্মদ সিরাজুল হক, চিৎমরম সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আজিজুল হক, সাবেক ইউপি মেম্বার আলমসহ অনেকে বলেন আগের মসজিদ পরিচালনা কমিটি মুসল্লী ও এলাকাবাসী বিশ্বাসের মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছেন। আর বর্তমান কমিটি দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি উপহার দিয়েছেন।

মসজিদের বর্তমান কমিটির মোতোয়ালি হাজী মোহাম্মদ সৈয়দ বলেন, যারা এসব কথা বলছেন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা। আমাকে তিন বছরের জন্য মোতোয়ালি নিয়োগ করা হয়েছে। আমি কর্মের প্রয়োজনে দীর্ঘ সময় চট্টগ্রাম থাকলেও মসজিদ পরিচালনার বেলায় আমি স্বচ্ছ এবং সুন্দরভাবে দেখাশোনা করছি। তারপরেও অপরপক্ষ আদালতে মামলা করেছে বলে আমি জানতে পারি।

কাপ্তাই
Comments (0)
Add Comment