নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন মোতাবেক গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে পল্লীর দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ এ বিভাগের আওতায় শ্রেষ্ঠ মাঠ সংগঠক(মহিলা কর্মসূচী) নারী কর্মসূচি ক্যাটাগেরীতে দেশ সেরা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন মাঠ সংগঠক জয়নাব বেগম।
তিনি কাপ্তাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাংবাদিক মাহফুজ আলমের সহধর্মিনী।
মঙ্গলবার(১৫অক্টোবর) বিআরডিবি প্রধান কার্যালয়, পল্লী ভবন ঢাকায় সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে বিআরডিবি পরিচালক (সরেজমিন) নাদিরা হায়দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বিআরডিবি’র মহাপরিচালক আঃ গাফ্ফার খান উপস্থিত থেকে দেশ সেরা শ্রেষ্ঠ মাঠ সংগঠক (নারী) ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত কাপ্তাই বিআরডিবি’র মাঠ সংগঠক পল্লী দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করেছেন জয়নাব বেগমকে।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, সবাই যদি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে তাহলে বিআরডিবি’র উন্নতির মাধ্যমে অর্থ সামাজিক উন্নয়ন করা সম্ভব। যার মাধ্যমে দেশ ও জনগণের মাঝে সুফল বয়ে আসবে। যেমন কাপ্তাইয়ের মাঠ সংগঠক জয়নাব বেগম ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ঋণ বিতরণ-১৯০.৫০ লক্ষ টাকা, ক্রম পুঞ্জিত ঋণ বিতরণ-১৯৭০.৫০ লক্ষ টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসএমই ঋণ বিতরণ-৫৪.০০ লক্ষ টাকা, ক্রম পুঞ্জিত এসএমই ঋণবিতরণ- ১১৯.০০ লক্ষ টাকা।২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঋণ আদায়-১৭৫.৩০ লক্ষ টাকা, ক্রম পুঞ্জিত ঋণ আদায়ঃ ১৮৮৫.৪০ লক্ষ টাকাএবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসএমই ঋণ আদায়-১৫.৫০ লক্ষ টাকা, ক্রমপুঞ্জিত এসএমই ঋণ আদায়- ৮০.৫০ লক্ষটাকা নির্বাচিত মাঠ কর্মীর ব্লকে সাংগঠনিক কার্যক্রমঃ মোট সমিতি-২৮টি, তৎমধ্যে সক্রিয় সমিতি-২৩ টি, নিষ্ক্রীয় সমিতি-০৫ টি এবং ঋণী সমিতি-১৭ টি মোটসদস্য সংখ্যা-৬৬৫ জন, তৎমধ্যে সক্রিয় সদস্য সংখ্যা-৫৮০ জন এবং ঋণী সদস্য সংখ্যা- ৪৩০ জন নির্বাচিত মাঠ কর্মীর ব্লকে শেয়ার-সঞ্চয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শেয়ার জমা-১.৫৫ লক্ষ টাকা, ক্রমপুঞ্জিত শেয়ার জমা-২২.৬৫ লক্ষ টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সঞ্চয় জমা-৮.৮০ লক্ষটাকা, ক্রম পুঞ্জিত সঞ্চয় জমা- ৮৩.২০ লক্ষ টাকা।নির্বাচিত মাঠকর্মীর কাজের বিশেষত্ব তিনি সৎ মনোভাবের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে গরু মোটাতাজা করন, দুগ্ধ উৎপাদনসহ অন্যান্য কর্মকান্ডে টিকা প্রদানে সমিতির সদস্যদের সার্বিক সহায়তা করেন।
এছাড়া তিনি সমবায় সমিতির মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সংঘঠিত করে ঋণ সহায়তা প্রদান করে স্বাবলম্বী করে। এইভাবে সকলকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সম্মাননা পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে জয়নাব বেগম বলেন,আমি চাকরি জীবনে আমার উপরে অর্পিত দায়িত্ব কর্তব্য পালনে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি, কখনো বিআরডিবি’র কাজে গাফেলতি করিনি।এই সম্মাননা পাওয়ার পেছনে ছিল কর্মকর্তাদের সদিচ্ছা ও আমার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। আমি মনে করি কর্মের মূল্যায়ন স্বরুপ সম্মাননা পাওয়ায় আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব কর্তব্য পালনে কর্মস্পৃহা আরো গতিশীল হবে।