ম.ম.রবি ডাকুয়া,রাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : ২০২১ সালের শেষের দিকে উৎপাদনে যাবে রামপালের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিপি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলীর বেলায়েত হোসেন এ কথা বলেছেন। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নবনিযুক্ত প্রকৌশলীদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে । বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) প্রকল্প এলাকায় এই অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চার মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে প্রথম ব্যাচের প্রকৌশলীরা এ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে কাজে যোগদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, পরিবেশগত সকল আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে আমদানি করা উন্নতমানের কয়লা ব্যবহার করা হবে। আল্ট্রা সুপার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প কয়লা ব্যবহার করে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। দেশে বিদ্যুৎ খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। প্রায় ১১ বছরে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে। বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে।
বিপিডিবি চেয়ারম্যান আরও তার বক্তব্যে বলেন, মুজিব শতবর্ষে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে রামপাল পাওয়ার প্লান্টের (রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র) কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুই ইউনিট বিশিষ্ট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের প্রথম ইউনিট ২০২১ সালের শেষ দিকে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২২ এর প্রথম দিকে উৎপাদনে যাবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিআইএফপিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিমেশ জইন বলেন, নবনিযুক্ত তরুণ প্রকৌশলীদের কর্মকাণ্ডে প্লান্টে আরও গতি আসবে। এবছর সেপ্টেম্বরের পর থেকে ভারত থেকে এক হাজার দুইশত এর অধিক দক্ষ শ্রমিক ফিরে এসেছে। বর্তমানে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশি শ্রমিকসহ ৭ হাজারেরও অধিক শ্রমিক কর্মরত আছে। বর্তমানে প্রকল্পটির অবকাঠামোগত কাজের শতকরা ৫৫ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতির শতকরা ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক এসসি পান্ডে, উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিমসহ প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্যেখ্য রামপালের কয়লা ও তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মান হলে দেশের জতীয় গ্রিডে নতুন বিদ্যুৎ যোগ সহ স্থানীয় কলকারখানা আরো নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পাবে নতুন অনেক কারখানা খোলার কথা ভাবতে পারবেন সকল উদ্যেক্তারা।যদিও বর্তমানে মোংলা বন্দর সহ এর আশে পাশে কল কারখানাগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যহত আছে নতুন বিদ্যুৎ যোগ হলে আরো নতুন কল কারখানা গড়ে উঠতে পারবে।কর্মজীবি মানুষের আয়ের পথ সুগম হবে।
এর আগে সকালে বিপিডিপি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন অন্যান্য অতিথিকে নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন এবং প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন।