নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্কের সুপরিচিত ‘বাংলা ট্রাভেলস’-এর ঢাকা অফিসের উদ্বোধন করা হয়েছে। দিনরাত ২৪ ঘন্টা সেবার অঙ্গীকারে ‘ডিজিটাল বাংলা ট্রাভেলস’ নামে ঢাকার বনানীস্থ বাড়ি-৯, রোড ১৭, ব্লক ই ঠিকানায় গত ৭ নভেম্বর ‘ডিজিটাল বাংলা ট্রাভেলস’ নামে এই নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।
ঢাকার অফিস উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সোমবার (২৫ নভেম্বর) জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা ট্রাভেলসের কর্ণধার বেলায়েত হোসেন বেলাল ঢাকায় নতুন শাখার কার্যক্রম ও সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। খবর ইউএনএ’র।
সংবাদ সম্মেলনে জেবিবিএ’র সভাপতি গিয়াস আহমেদ সহ বাংলাদেশের জনপ্রিয় তিন তারকা মামুন হোসেন ইমন, সজল নূর ও নীরব হোসেন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা বাংলা ট্রাভেলসের ২৪ ঘণ্টা সেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন। পরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন বেলায়েত হোসেন বেলাল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খলিল বিরিয়ানীর কর্ণধার শেফ খলিলুর রহমান, শো টাইম মিউজিক এর কর্ণধার আলমগীর খান, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নূরুল আজীম, আহসান হাবীব প্রমুখ। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বেলায়েত হোসেন বেলালকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। উপস্থাপনায় ছিলেন শারমীন সিরাজ।
সংবাদ সম্মেলনে বেলায়েত হোসেন বেলাল লিখিত বক্তব্যে বলেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে বাংলা ট্রাভেলস তার ২৫ বছরের যাত্রা পথে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটি-কে সেবার দেয়ার পাশাপাশি এখন থেকে মাতৃভূমি বাংলাদেশের গ্রাহকদের সেবা করতে চায়। আর ঢাকা অফিসের মাধ্যমে দেশের কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, প্রতিযোগিতামূলক ট্রাভেলস ব্যবসার বাজারে সব রাঘব বোয়ারদের টক্কর দিয়ে বাংলাদেশী কমিউনিটির একমাত্র ট্রাভেলস এজেন্ট হিসেবে ‘বাংলা ট্রাভেলস’ সেবা দিয়ে আসছে। প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে ন্যাশনাল টেরিটরি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। ‘বাংলা ট্রাভেলস’ সারা পৃথিবীর প্রায় সবগুলো এয়ারলাইন্স-এর সরাসরি স্টক হোল্ডার এবং প্রায় সবগুলো এয়ারলাইন্স-এর সাথে আছে ডিসট্রিবিউশন পার্টনাশীপ। এটি যেমন বাংলা ট্রাভেলসের জন্য গবূ, তেমনী বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্যও গর্বের বিষয় বটে। ‘বাংলা ট্রাভেলস’ এয়ারলাইন্সগুলোকে বছরে প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশী ব্যবসা দিয়ে থাকে।
বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, পাক-ভারত উপমাহাদেশের ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসার শতকরা ৯৯ ভাগই বাংলাদেশের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রের সিন্ডিকেটের হাতে। তিনি এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে বাংলাদেশী সকল ট্রাভেল এজেন্টদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি সকল মহলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। পরে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।