দুর্গম পার্বত্যবাসীর জীবন মান উন্নয়নে বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে মানবতার সেবায় মেজর এম এম ইয়াসিন আজিজ

দুর্গম পার্বত্যবাসীর জীবন মান উন্নয়নে বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে মানবতার সেবায় মেজর এম এম ইয়াসিন আজিজ

রিমন পালিত: বান্দরবান প্রতিনিধি। পার্বত্য জেলা বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় মানবতার সেবায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বিদেশের শান্তি মিশন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করে ৩ পার্বত্য জেলা তথা বান্দরবানে নিরাপত্তার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে তারা।  তারই ধারাবাহিকতায় আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার  বান্দরবানের  রোয়াংছড়ি উপজেলায় পার্বত্য জেলা শিশু উন্নয়ন প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে এক বিশেষ সহায়তা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোয়াংছড়ি আর্মি ক্যাম্পের সাব জোন কমান্ডার মেজর এম এম ইয়াসিন আজিজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাতৃদুগ্ধ পোষ্যকালীন মায়েদের  বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেন। সেই সাথে পার্বত্য বান্দরবানে কর্মরত এনজিও ও অন্যান্য সংস্থাকে এ ধরনের উদ্যোগে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং মায়েদের তাদের শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করা হয়।

এছাড়া রোয়াংছড়িতে পার্বত্য জেলা শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের (সিডিসি) সহযোগিতায় কম্প্রেশন ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে আয়োজিত এক কর্মসূচীতে ১০৮ জন সিএসপি মায়েদের মধ্যে বিভিন্ন আইজিপি সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ কর্মসূচির আওতায় মায়েদের হস্তশিল্প, সেলাই মেশিন, পশু পালন ইত্যাদিতে সহায়তা প্রদান করা হয়।

প্রদেয় সামগ্রীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল: মায়েদের জন্য হস্তশিল্পে উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩টি সেলাই মেশিন, পশু পালন সহায়তায় ৭টি শুকর ও ৩টি ছাগল এবং সূতা কাজের জন্য ২ জনকে সূতা প্রদান করা হয়েছে।

পাঁচ বছরের নিচে ১০৮ জন শিশুর মধ্যে পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রতিটি শিশু পেয়েছে ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ৫০০ গ্রাম হরলিক্স এবং ৩টি ডিম।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা হিসেবে কলেজ পর্যায়ের ৫৫ জনকে ৩০০ টাকা করে এবং হাই স্কুল পর্যায়ের ৭২ জনকে ৫৫০ টাকা করে ভর্তি ও মাসিক বেতন প্রদান করা হয়েছে।

অতিরিক্তভাবে, উপস্থিত সুবিধাভোগীদের মধ্যে শীতবস্ত্রসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এই উদ্যোগ পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সেনাবাহিনীর মানবিক কার্যক্রম স্থানীয় জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে সহায়তা করছে। ভবিষ্যতেও এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মেজর এম এম ইয়াসিন আজিজ
Comments (0)
Add Comment