তৌহিদ উদ দৌলা রেজা : মেহেরপুরের প্রবীন সাংবাদিক মেহেরপুর নিউজ এর বার্তা সম্পাদক মিজানুর রহমান ও দৈনিক মানবকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি মুজাহিদ মুন্নাকে শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল আলম মিথেনের নেতৃত্বে বেধড়ক ভাবে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে জমি দখল বাহিনী। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় সাংবাদিকরা উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। মানবকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি মুজাহিদ মুন্না জানান, মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে আমার চাচা শশুর আতিয়ার রহমান পিন্টুর জমি আছে। সেই জমির পেছনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েলের জমি রয়েছে। জুয়েল সেই জমিতে যাতায়াতের জন্য জোর করে রাস্তা চায়। কিন্তু আমার চাচা শশুর রাস্তার জমি না দেওয়ায় মঙ্গলবার সকালে মিথেনের নেতৃত্বে সালাম, রিয়াদ, তপনসহ জমি দখল বাহিনী ওখানকার স্থাপনা ভাংচুর করে আসে। এরপর মিথেনের মোবাইল নম্বর থেকে আমার শশুরকে মেহেরপুরে এসে দেখা করতে বলে। আমি ও আমার চাচা শশুর পিন্টু তাদের সাথে দেখা করে বিষয়টা নিয়ে কথা বলি। এসময় মিথেনের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবকসহ রিয়াদ আমাদের রাস্তা ছেড়ে দেবার জন্য চাপ দেয়।
আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে প্রকাশ্যে রাস্তার ওপর ফেলে বেধড়কভাবে মারধর করে। এর পরে আমরা সেখান থেকে আমি পালিয়ে এসে আমার চাচা সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে নিয়ে বড় বাজারে আজিম মেডিকেল হলের সামনে আসলে পুনরায় রিয়াদ, আশরাফ, তপন, সালাম, মিথেন সহ ২০/২৫ জনের একটি দল আমার চাচা সহ আমাকে আবারও মারপিট করে। পরে আমি স্থানীয় সাংবাদিকদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে আমার চাচা সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে। পরে মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খোকন ও মেহেরপুরের সিনিয়র সাংবাদিক তুহিন অরণ্য’র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের একটি দল সেখানে বিষয়টি নিয়ে বসে। পরে অভিযুক্ত মিথেনের ফোন কল ধরে তাকে ডাকা হলে সে দোষ স্বীকার করে বলেন, আমি অ্যাড. জুয়েল ভাইয়ের নির্দেশে ওখানে গিয়েছি। এরকম কাজে আমাদের কাছে অনেকজন আসে যা আমাদের সমাধান করতে হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল সাংবাদিকদের কাছে মিথেন বাহিনীদের পাঠানোর কথা স্বীকার করেন। বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খোকন বলেন, এটা একটা অন্যায় কাজ। এভাবে কাউকে মারা ঠিক হয়নি।