বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে ব্যাপক উৎসাহের মধ্য দিয়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ব্রাজিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারতসহ যেসব দেশ আমজনতাকে করোনা টিকা দিয়েছে; তাদের তালিকায় নাম লেখালো বাংলাদেশ। বিশ্বে এখনো টিকার জন্য হাহাকার চলছে। প্রায় শতাধিক দেশ এখনো করোনা টিকা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি। অথচ বাংলাদেশে আমজনতাকে টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ১০০৫টি কেন্দ্রে গতকাল টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টিম ছাড়াও সারা দেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে ২১৯৬টি টিম টিকা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। রাজধানী ছাড়াও বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে একযোগে করোনার টিকাদান কর্মসূসিতে মন্ত্রী, এমপি, বিচারপতি, পুলিশ কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং সিনিয়র চিকিৎসক, নার্সরা টিকা গ্রহণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর মাধ্যমে শুরু হয় দেশব্যাপী এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান।
দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে যখন এখনো টিকা নেয়া অনিশ্চিত; তখন চ্যালেঞ্জ নিয়েই সারাদেশে একযোগে শুরু হলো করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি শুরু হয়ে দু’দিনের পরীক্ষামূলক টিকাদান কার্যক্রমের ফলাফল আশানুরূপ হয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দু’টি ডোজের প্রথম ডোজ নেয়া ৫৬৭ জনের কারো মধ্যে কোনো বড় ধরনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের ৫৫ বছরের বেশি বয়সী ও নির্দিষ্ট কিছু পেশার প্রত্যেককেই এই টিকা দেয়া হবে প্রথম পর্যায়ে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েল তথ্য মতে, গত শনিবার পর্যন্ত সারা দেশে সাড়ে তিন লাখ মানুষ টিকার জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেন। এদের অনেককেই রোববার টিকা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রচারণায় ঘাটতি, অনলাইন নিবন্ধনে সমস্যা, ভারতের টিকা সম্পর্কে ভুল তথ্য ও টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে সন্দেহপ্রবণ সংবাদ সাধারণ মানুষকে টিকার প্রতি অনাগ্রহী করে তুলেছিল। প্রথম মাসে প্রায় ৬০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা করে সরকার। পরবর্তীতে এই সংখ্যা কমিয়ে ৩৫ লাখ ধরা হয়েছে। তবে সময় মতোই দেশে পৌঁছেছে করোনা টিকা। পরিকল্পনামাফিক দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেগুলো পৌঁছে দেয়া হয়েছে সারা দেশে। টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ভ্যাকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অ্যাপের জটিলতার কারণে টিকা গ্রহীতাদের নিবন্ধন কম হলেও গণটিকাদান কর্মসূচির শুরুতে কমতি ছিল না উৎসাহ-উদ্দীপনার। উৎসব আমেজে টিকা নিয়ে সন্তোষ জানিয়েছেন গ্রহণকারীরা। বললেন, গুজবের কারণে যে শঙ্কা ছিল টিকা নেয়ার পর সেটি কেটে গেছে। রাজধানীতে গণটিকাদানের শুরু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। টিকা গ্রহীতা ভিভিআইপিরা বলেন, মহামারি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে টিকার বিকল্প নেই। ইউরোপ-অ্যামেরিকার মানুষ এটি চেয়েও পাচ্ছেন না- সেখানে বাংলাদেশে এত দ্রুত ও সহজে টিকা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা। বিশিষ্টজনেরা সকলকে নির্ভয়ে টিকা নেয়ার আহ্বান জানান।
বিএসএমএমইউ ছাড়াও ঢাকা মেডিক্যাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালসহ রাজধানীর অন্য হাসপাতালে টিকা দেয়া হয়।
রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বিভাগীয় শহর, জেলা শহরে টিকা নিয়েছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সচিব। মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথমে টিকা নিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, রাশেদ খান মেননসহ কয়েকশ’ জনপ্রতিনিধি। সচিবদের মধ্যে টিকা নিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ প্রায় ৫৫ জন বিচারপতি টিকা গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়াও জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, ডা. সামন্ত লাল সেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. এহতেশামুল হক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. এম এ আজিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ ও এ এস এম মাকসুদ কামাল টিকা নেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, তিনটি ব্যাচের প্রায় ৭০ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে সরকারের কাছে। যার মধ্যে দু’টি ব্যাচের মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের এপ্রিলে এবং একটির শেষ হবে জুনে। তবে টিকাগুলোর মেয়াদ ঠিক কত তারিখে শেষ হবে তা জানাননি কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সরকার প্রতিদিন তিন লাখ ৬০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে প্রস্তুত আছে।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা, যাদের চার সপ্তাহের মধ্যে উচ্চতাপমাত্রার জ্বর হয়েছিল এবং যাদের অ্যালার্জি আছে তারা ভ্যাকসিন নেবেন না।
যারা করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন তারা সুস্থ হওয়ার ২৮ দিন পর এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে প্লাজমা থেরাপি নিয়েছেন তাদের ভ্যাকসিন নিতে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ৯০ দিন। ডা. ফ্লোরা জানান, এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। ভবিষ্যতে এগুলোর পরিবর্তন হতে পারে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ‘কোভিশিল্ড’ নামের অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ কিনেছে বাংলাদেশ। ভ্যাকসিনের ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে গত ২৫ জানুয়ারি। এর পাশাপাশি ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে কোভিশিল্ডের ২০ লাখ ডোজ পেয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ভ্যাকসিনের মজুদ আছে বাংলাদেশে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে সেরাম থেকে কেনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় চালান আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আসতে পারে।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চারতলায় ভ্যাকসিন বুথ খোলা হয়েছে। সেখানে প্রথম টিকা নিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর একে একে টিকা নেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।
রাজশাহী : সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। রাজশাহীতে প্রথম করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কেন্দ্রে তিনি করোনার টিকা নেন। এ ছাড়াও বাদশার সহধর্মিণী অধ্যাপিকা তসলিমা খাতুন, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এবং সিভিল সার্জন ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার করোনার টিকা গ্রহণ করেন। এরপর রামেক হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্সরা টিকা নেন।
রাজশাহী শহরে মোট তিনটি কেন্দ্রে রোববার টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। অন্য দ’ুটি কেন্দ্র হলো বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল।
রংপুর : রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮টি বুথে করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা প্রথমে টিকা নিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর টিকা নেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরন্নবী লাইজু, অর্থপেডিকস বিভাগের অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক হামিদুর রহমান। এরপরই চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা টিকা নেবেন। জেলায় সাড়ে ৫শ’ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেয়া হয়।
যশোর : মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরে টিকা কার্যক্রম চালু হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেয়া হয়। যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
নোয়াখালী : নোয়াখালীতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম ভ্যাকসিন নিয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। টিকা নিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা।
লক্ষীপুর : লক্ষীপুরে প্রথম করোনার টিকা নিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গাফফার।
মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেয়ার পর মানিকগঞ্জের ৯টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম শুরু হয়। নার্সিং কলেজ কেন্দ্রে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পুলিশি সুপার রিফাত রহমান শামীম, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ একযোগে এই টিকা গ্রহণ করেন। পরে অন্যদের টিকা দেয়া হয়।
গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য এ পর্যন্ত দুই হাজার ৪৪৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। রোববার ৪৮০ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলামকে ভ্যাকসিন দেয়ার মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জে করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরপর শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জাকির হোসেন, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক এবং সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার এস এম সাকিবুর রহমান ভ্যাকসিন নেন। পরে অন্যদের ভ্যাকসিন দেয়া হয়। সিনিয়র স্টাফ নার্স রমা রানী ভক্ত বিশিষ্টজনদের ভ্যাকসিন পুশ করেন।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে জেলার ভ্যাকসিন কর্মসূচি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে টিকা নেন মাহবুব-উল আলম হানিফ।
এছাড়ও খুলনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলায় টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম : চমেক হাসপাতালে ভ্যাকসিন গ্রহণের মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
চট্টগ্রাম সেনানিবাসে প্রথম ভ্যাকসিন নিলেন জিওসি
চট্টগ্রাম সেনানিবাসে প্রথম করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন। গতকাল সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করে প্রথম টিকা নেন তিনি।
যশোর : যশোরে প্রথম করোনার টিকা গ্রহণ করেন সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ।
নোয়াখালী : প্রথম দিনে দুইজন সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র ও চিকিৎসকসহ মোট ৪শ’ ৬৯ জন টিকা নিয়েছেন। সকালে টিকা গ্রহণ করেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নেন নোয়াখালী-১ আসনের সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিম, সোনাইমুড়ীতে টিকা নিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মিয়া।
রাজশাহী : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম করোনার টিকা গ্রহণ করেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এরপর রামেক হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা নিতে শুরু করেন। এদিকে, পুলিশ হাসপাতালে টিকা প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন
খুলনা : নিজে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (টিকা) প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। এরপর খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদও টিকা গ্রহণ করেন। খুলনা মহানগরে ১৩টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
পটুয়াখালী : পটুয়াখালীতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন টিকা গ্রহণ করেন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিনসহ সরকারের ১৭ ক্যটাগরির মানুষ।
বরিশাল : দক্ষিণাঞ্চলের ৪২টি উপজেলার ৪৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৪১২ জন টিকা গ্রহণকারী সকলেই সুস্থ আছেন। বরিশাল মহানগরীতে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ডা. বাকির হোসেন প্রথম টিকা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ প্রধান অতিথি ছিলেন। এছাড়া বাকেরগঞ্জে স্থানীয় এমপি ইসরাত জাহান রত্মা আমিন ও বরিশাল পুলিশ লাইন্সে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার প্রলয় চিসিম টিকা গ্রহণ করে পৃথকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
দিনাজপুর : জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর সদর আসনের এমপি এম ইকবালর রহিম কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেছেন। এর আগে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ঝালকাঠি : ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যেমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি। উদ্বোধনের পরেই জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনিরকে করোনা প্রতিরোধ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয় ।
ঝিনাইদহ : জেলায় প্রথম টিকা গ্রহণ করেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। পরে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা টিকা গ্রহণ করেন।
মাগুরা : মাগুরায় প্রথম টিকা নিলেন ২৫০শয্যা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক স্বপন কুমার কুন্ডু। এর আগে টিকাদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। এ সময় মাগুরা জেলা প্রশাসক ড.আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
মানিকগঞ্জ : জেলা সদর হাসপাতালে পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীমকে টিকা প্রদানের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রমে শুরু হয়। এরপর জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, সিভিল সার্জন ডাক্তার আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুনিরুজ্জামান ও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আরশ্বাদ উল্লাহ টিকা গ্রহণ করেন।
মৌলভীবাজার : সদর হাসপাতালে মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর সংসদ সদস্য একটি বুথে নিজে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন। এসময় জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
নরসিংদী : নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদীর নবাগত পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম, সিভিল সার্জন ডা. মো: নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। প্রথম করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন নরসিংদী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নিবারণ রায়।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু। পরবর্তীতে টিকা গ্রহণ করেন নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি ও সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিয়া।
সাভার : দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিতরণের প্রথম দিনে নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হক টিকা নিয়েছেন। এসময় পর্যায়ক্রমে এক›শ সেনা সদস্যকেও টিকা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ন‚র রিফফাত আরা সর্বপ্রথম কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেন।
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জেলা প্রসাশক ডক্টর আতাউল গনির শরীরে প্রথম ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। এরপর জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম এর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে।
কুষ্টিয়া : টিকা নিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাহবুব উল আলম হানিফ।
পরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী-খোকসা আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, করোনা টিকা নেন।
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলমসহ ৫ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) : ডা. আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের সভাপতিত্বে করোনা টিকাদান উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবাইয়ের আহমেদ।
কচুয়া (চাঁদপুর) : চাঁদপুরের কচুয়ায় ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান সুলতানা খানম, ইউএনও দীপায়ণ দাস শুভসহ অন্যান্যরা।
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) : আড়াইহাজারে প্রথম টিকা নিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুজাহেদুর রহমান হেলো সরকার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া, প্রমুখ।
বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভ্যাক্সিন টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব মো. আফজাল হোসেন। প্রথম টিকা গ্রহণ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ।
বামনা (বরগুনা) : বরগুনার বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সরকার নিজে টিকা গ্রহণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ভূঞাপুর(টাঙ্গাইল) : ভূঞাপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
বিশ্বনাথ (সিলেট) : প্রথম টিকা নিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শামীম মুসা। দ্বিতীয় টিকা নেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মুসা। এর আগে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।
চিলমারী(কুড়িগ্রাম) : চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানেটারি ইন্সেপেক্টর আরশাদ আলী ও সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক মজিবর রহমানকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম।
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) : দাউদকান্দি উপজেলায় প্রথম টিকা গ্রহণ করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.)।
দৌলতখান (ভোলা) : টিকা গ্রহণ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অচিন্ত্য কুমার ঘোষসহ ৬ জন ।
কলাপাড়া(পটুয়াখালী) : উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রধান অতিথি থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিববুর রহমান মহিব।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন শুভ উদ্বোধন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন। পরে প্রথমে টিকা গ্রহণ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রাজ্জাক মাহমুদ।
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) :প্রথম ভ্যাকসিন নিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।
কমলনগর (লক্ষীপুর) : লক্ষীপুরের কমলনগরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী।
কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) : কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম করোনার টিকা নিলেন কাপ্তাই ৪১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : ঢাকার কেরানীগঞ্জে নিজে টিকা গ্রহণ করে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা-২ আসানের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। পরে অন্যান্যদের মধ্যে টিকা গ্রহণ করেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমানসহ প্রমুখ।
কুলাউড়া(মৌলভীবাজার) : উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. নুরুল হকের সভাপতিত্বে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস ১ম টিকা গ্রহণ করে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : মীরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : টিকাদান কর্মসূচিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি’র নায়েব সুবেদার (প্রধান সহকারী) উত্তম কুমার সিংহ। সকালে টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন।
রাউজান(চট্টগ্রাম) : রাউজান উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে প্রধান অতিথি থেকে এ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ি কমিটির চেয়ারম্যান এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।
শরণখোলা (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রথম করোনা টিকা গ্রহণ করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত এএসপি হাবিবুর রহমান তালুকদার (৭৩)।
শেরপুর : শেরপুর-১ আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক এ কর্মসূচির উদ্ভোধন করেন। স্থানীয় সরকারের ডিডি-এলজি এটিএম জিয়াউল ইসলাম পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম টিকা গ্রহণ করেন। অন্যদিকে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রথম টিকা দেন দেবাশীষ সাহা রায়, চিকিসকদের মধ্যে সিভিল সার্জন ডাক্তার আবুল কাশেম মোহাম্মদ আনোয়ারুর রউফ।
সোনাগাজী (ফেনী) : সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাসের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিমের সভাপতিত্বে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।