আল এনায়েত করিম রনি, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় নিহতের বড়ভাইসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলায় একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান। এ সময় মোট সাত আসামীর মধ্যে ৬ জন উপস্থিতল ছিল। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এক আসামী শুরু থেকে পলাতক রয়েছে। তিনজন জেলে ও তিনজন জামিনে ছিলেন। ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারী ভোরে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের সুলতান মন্ডল, নাতনী রোমানা ও আনিকার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ শোবার ঘরে পাওয়া যায়। হাসপাতালে নিতে মারা যায় স্ত্রী হাজেরা বেগম। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হাফিজুুর রহমান অজ্ঞাত আসামী করে ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা করে। পরে একই এলাকায় চান্দ মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করলে তারা সুলতান হত্যা কান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীখার করে। নিহত সুলতানের ভাই মমতাজ ভাড়াটে খুনি দিয়ে এদের রাতে হত্যা করে বলে স্বীকার করলে এ রায় দেয় আদালত। আসামী মমতাজ উদ্দিন, নজুরুল ইসলাম মজনু ওরফে মনজু, আমীর হামজা ওরফে আমির হোসেন, জাকির হোসেন ওরফে রাসেল খান, জালাল গাজী, ওরফে পলাশ গাজী, হাসমত আলী শেখকে ফাঁসির আদেশ এবং নাইমুল ইসলামকে খালাস প্রদান করা হয়। মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন- এডভোকেট এস.এম.আব্রাহাম লিংকন আসামী পক্ষে সাবেক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও এডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু, মনোয়ারুল হক আলো, আমীরআলী, এটিএম এরশাদুল হক চৌধুরী শাহিন, আসাদুল হক ছিলেন।