মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের সাথে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতা নেয়ার পর বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। বাইডেন প্রশাসনের আমলে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মিলার। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সঙ্কট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে উচ্চকন্ঠ রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যৌথ অনুষ্ঠানগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল যোগ দিতে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের অগ্রাধিকারে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পরিবেশ বিষয়ক দূত ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন ক্যারির সাথে তার সাম্প্রতিক টেলিফোন আলাপের প্রসঙ্গ টেনে ড. মোমেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ফোরামে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একসাথে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরীকে অবিলম্বে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।