নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনার রুপপুর পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রে ঈশ্বরদী উপজেলা শিক্ষকদের সচেতনা মূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় । আজ সকালে ঈশ্বরদী পৌরসভায় অবস্থিত পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রে এ সচেতনা মূলক প্রশিক্ষণ পারমাণবিক শক্তি বনাম জীবাশ্ম জ্বালানী: কোনটি ভাল” বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় । প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রীতম কুমার দাস ।
রুপপুর পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রের প্রজেক্ট ম্যানেজার সাকিফ আহমেদের পরিচালনায় উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন NPCBL এর PSO, BAEC Manager গোলাম শাহিনুর রহমান, NPCBL এর Asst. Manager সৈয়দ নাজমুল হোসাইন ।
পারমাণবিক শক্তি বনাম জীবাশ্ম জ্বালানী: কোনটি ভাল” বিষয়ে কর্মশালায় ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ অংশগ্রগণ করেন । অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ড. প্রীতম কুমার দাস বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করতে একটি উচ্চাভিলাষী, বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তারই অংশ হিসেবে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প । রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র পারমাণবিক শক্তি বনাম জীবাশ্ম জ্বালানীর পক্ষে মতামত বিবেচনা করার সময় ব্যয়টি গুরুত্বপূর্ণ। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির অপারেটিং ব্যয় অন্য বিদ্যুৎ উত্পাদক শক্তি উত্সগুলির ব্যয় ছাড়িয়ে গেলেও মোট ব্যয় বেশিরভাগের তুলনায় কম। বিদ্যুৎ উৎপাদনের গড় মোট ব্যয়ের মধ্যে অপারেশন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত। প্রতি এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যে পরিমান খরচ হয়, তা অন্য যেকোন উৎস দিয়ে বিদ্যুৎ উপাদনের চেয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে তার চেয়ে খরচ অনেক কম হয় ।
২০২১ সালের মধ্যে আরও ২.৭ মিলিয়ন বাড়িগুলিকে গ্রিডের সাথে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্য সহ বিদ্যুতের উত্পাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা বিকাশের এই ধাক্কাটির মূল ভিত্তি। ২০০৯ সাল থেকে, বাংলাদেশ জাতীয় জ্বালানী সুরক্ষা বৃদ্ধি, আমদানিকৃত শক্তির উপর নির্ভরতা হ্রাস এবং সীমিত আদিবাসী উত্স যেমন প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করার জন্য শক্তি সরবরাহ উত্সকে বৈচিত্র্যবদ্ধ করার জন্য কাজ করছে।