বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দেশের সব মানুষের ডিজিটাল সুরক্ষার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বিশ্বের বহুদেশে এ আইন আছে এবং এর অপপ্রয়োগ রোধে সরকার সতর্ক দৃষ্টি রাখছে’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে শামীম আহমেদ সম্পাদিত ‘শেখ হাসিনা : ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ’ সচিত্র গ্রন্থটির ৩য় সংস্করণ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। এসময় মন্ত্রী বইটির চলমান প্রকাশনাকে স্বাগত জানান ও তথ্য-উপাত্তগুলো সবসময় হালনাগাদ রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে সাম্প্রতিক আলোচনার প্রেক্ষাপটে ড. হাছান বলেন, ‘দেশে-বিদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি করোনা টিকা নিয়েও নানা অপপ্রচার চলেছে- টিকা সময়মতো আসবে না বলার পর যখন এসে গেলো, তখন বলা হলো এটি ক্ষতিকর, তারপর এখন অপপ্রচারকারীরাই গোপনে-প্রকাশ্যে টিকা নিচ্ছেন।’
‘দেশের অভ্যন্তর থেকে এবং বিদেশে বসেও ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে নিজের পরিচয় গোপন রেখে অন্যের চরিত্রহনন করা হচ্ছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে কতজনকে হত্যা করা হয়েছে। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে তো একটা আইনের প্রয়োজন। সেটিই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, যে আইনটি দেশের সব মানুষের জন্য।’
লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, গৃহিণী, চাকুরিজীবী, কৃষক, রিক্সাচালক, খেটে-খাওয়া মানুষ সবার ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য এবং দেশের স্বার্থে সবাইকে সুরক্ষা দেবার জন্য এ আইন ব্যাখ্যা করেন ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আইনের চোখে দোষ করলে তিনি গ্রেপ্তার হন, কিন্তু জেলখানায় কারো মৃত্যু কখনো কাম্য নয়। সেজন্য আমিও ব্যথিত। কিন্তু এ আইনের প্রয়োজন আছে। এবং এ আইন শুধু বাংলাদেশে নয়, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াতেও আছে। এমনকি সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিয়নেও একটি ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় নাগরিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়া হয়।’
যে সমস্ত দেশের রাষ্ট্রদূতরা এনিয়ে বিবৃতি দেন, তাদের দেশেও এ আইন আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তবে আইনের অপপ্রয়োগ হওয়া উচিত নয়। এবিষয়েও আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি।’
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভুইঁয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও গ্রন্থ সম্পাদক শামীম আহমেদ অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন।