বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার বলেছেন, সাধারণত যারা মাদক ব্যবসায়ী থাকে, তারা অনেক ভয়ঙ্কর হয়। অনেক সময় আমাদের ওপর অস্ত্র প্রয়োগ করেছে তারা। এই ধারাবাহিকতায় এখন অনুধাবন করছি, আমাদের অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আহসানুল জব্বার বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটি এখন বিচার-বিশ্লেষণ করছে কীভাবে কী উপায়ে আমাদেরকে অস্ত্র দেওয়া হবে।’ দেশের চলমান মাদক নিরাময়কেন্দ্রে কোনো ধরনের অন্যায়-অনিয়ম পাওয়া গেলে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্তব্য করে ডিজি বলেন, বর্তমানে আরও একটা বিষয় আমরা অনুধাবন করেছি- আমাদের অবশ্যই মোবাইল ট্র্যাকার প্রয়োজন। খুব সহজে এর সাহায্যে আমরা অপারেশন চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পারব।
মন্ত্রিসভা থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী কারণে অভিযান পরিচালনার কথা বলা হয়েছে জানতে চাইলে আহসানুল জব্বার বলেন, কারণ তো একটা অবশ্যই রয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাদক ব্যবসার প্রবণতা আছে। সে জন্য এখানে আমাদের অভিযান চালাতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি মালিবাগ রেলেগেটের হলি লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদাবরের একটি মাদক নিরাময়কেন্দ্রে এর আগে পুলিশের এক সিনিয়র এএসপি নিহত হয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ ছাড়া মালিবাগের হলি লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে নিহত ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে আমাদের টিম গিয়েছিল। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ৯টি মাদক নিরাময়কেন্দ্রের লাইসেন্স বন্ধ করে দিয়েছি। যেসব মাদক নিরাময়কেন্দ্রে অন্যায় পাওয়া যাবে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ সময় মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর চলমান অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, কিছু কিছু জায়গায় সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তবে অধিকাংশ মাদক নিরাময়কেন্দ্র সঠিকভাবে চলছে। আমরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত পরিদর্শন করছি।
পুলিশের মধ্যে যারা মাদকসেবী রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো সদস্য মাদক সেবন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আহসানুল জব্বার বলেন, এ বিষয়ে একটি বিধিমালা তৈরি হচ্ছে। বিধিমালাটি তৈরি হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ করা যাবে। তবে আমাদের এক সদস্যকে মাদক সেবন করে বলে পরীক্ষায় পেয়েছিলাম। তার বিরুদ্ধে এখন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল এক পরিদর্শককে আমরা পরীক্ষা করেছি; কিন্তু পরীক্ষায় মাদক সেবনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।