পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় অস্ত্র তৈরীর কারখানায় পুলিশের অভিযানে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার সাথে সাবেক সাংসদ খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার বেড়ায় স্থানীয় কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৮ মার্চ পাবনার বেড়া উপজেলার নাটিয়াবাড়িতে একটি অবৈধ অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে অবৈধ অস্ত্র ও জড়িত দুইজনকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় ‘সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর ভাতিজার বাড়িতে অভিযান’ চালানো হয়েছে উল্লেখ করে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবি করেন সাবেক এমপি।
তিনি বলেন, যাকে তার ভাতিজা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তার সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হেয় করতে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বেড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু ও তার ভাই মুকুর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধন রয়েছে এই ঘটনার সাথে। তিনি বলেন, পরিকল্পিত ভাবে আমার নাম জড়িয়ে এবং আমার কোন সম্পর্কেই আত্মীয় নন এমন এক পরিবারের দুই ভাইকে আমার ভাতিজা বানিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্ভট ও মনগড়া সংবাদ পরিবেশনের সাথে সম্পৃক্ত।
সাবেক এমপি আরজু বলেন, বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু ও তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা রটানোয় ব্যস্ত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে কেউ কোন ধরনের অভিযোগ করতে পারবে না। অথচ জাতসাকিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পরপরই নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজি বেপরোয়া ভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি দাবী করেন, রাজবাড়ী পাংশার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত রুস্তমকে এলাকায় এনে আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বসন্তপুরে বসবাসের ব্যবস্থা করে দিয়ে অস্ত্র কেনাবেচা, মাদকের কারবার, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম চালাচ্ছে।
তিনি আইন শৃংখলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ডাকাত ও সন্ত্রাসী রোস্তম আলীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই অবৈধ অস্ত্র কারখানা, তৈরী, বাজারজাত ও সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছে দেয়াসহ সঠিক ও নেপথ্যে জড়িতদের তথ্য বেড়িয়ে আসবে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তা সটিক নয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টি প্রশাসন দেখছে। এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।