পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার আটঘরিয়া মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সরকারের বিভিন্ন সুবিধার বিপরীতে অনিয়ম দূর্ণীতি ও আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলে ধরায় চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে প্রধান শিক্ষক কেএম রইচ উদ্দিন রবির উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে বেধরক মারপিট করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার ৬১নং শরাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আটঘরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় রামেশ্বরপুর পূর্বপাড়া বক্কারের বাড়ীর সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সঙ্গে থাকা মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিন্নাত আলীকে আহত হন।
অভিযোগ জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রামেশ্বরপুর বাজার থেকে মোটর সাইকেল যোগে প্রধান শিক্ষক কেএম রইচ উদ্দিন রবি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জিন্নাত আলী বাড়ীতে আসছিলেন। এ সময় একদল সন্ত্রাসীরা তার চলার পথ গতিরোধ করে লাঠি শোঠা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধরক মারপিট করে। তার চিৎকারে স্থানীরা দ্রæত এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে।
প্রধান শিক্ষক কেএম রইচ উদ্দিন রবি ও জিন্নাত আলী জানান, আমরা দুইজন প্রয়োজনী কাজ শেষ করে রামেশ্বরপুর আরপি বাজার থেকে ঘটনার দিন সন্ধায় বাড়ীতে আসছিলাম। মাছপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য জাবেদ আলীর তাদের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
তারা আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে অগ্রাধিকার ভিত্তিক ত্রাণের তালিকা প্রনয়ন, ত্রান কার্যক্রম, ভিজিডি এবং স্বল্প মূল্যে চাউলের তালিকা সহ সরকারের বিভিন্ন সুবিধার বিপরীতে অনিয়ম দূর্ণীতি ও আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলে ধরার কারণে তাদের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে।
অভিযুক্ত মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মিয়া বাংলাট্রিবিউনিকে বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু না। আমি এই রকম উড়া উড়া শুনছি এই ধরনের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দিচ্ছে। আমি তাতে কিছু মনে করছি না।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুনেছি প্রধান শিক্ষকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে দ্রæত সময়ের মধ্যে আসামীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।