পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন পরিদর্শন করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা। শনিবার দুপুর দুইটাই পরিদর্শনে আসেন তিনি। এসময় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হকের নেতৃত্বে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ তাকে স্বাগত জানান।
পরিদর্শণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বলেন, ঈশ্বরদীতে পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য আড়াই হাজার অবৈধ দখলকারীকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বারবার। কিছুদিনের মধ্যে রেলের জমি উদ্ধারে যেকোনো মূল্যে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। কারণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তা বেষ্টনির কাজ শুরু করা যাচ্ছে না রেলের জমি দখল হয়ে যাওয়ায়। এবার এ সব জমি উদ্ধার করা হবেই।
নির্মাণ কাজগুলো পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রেললাইন নির্মাণ, নতুন স্টেশন স্থাপন, রেললাইন সংস্কার কাজের পাশাপাশি তিনি ঈশ্বরদী প্লাটফর্মে যাত্রীদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য প্লার্টফর্ম সংস্কার, প্লার্টফর্ম উঁচু এবং যাত্রীদের মানবৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক টয়লেট, বসার স্থানসহ রেলওয়ের আধুনিক ইয়ার্ড ও
ডিজিটালাইজডকরণসহ নানামুখি যুগোপযোগী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।’
সচিব সেলিম রেজা আরও বলেন, ‘রেলপথ বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন বগি, ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছে। আরো আমদানি করা হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ের জন্য যে উন্নয়ন কাজ করেছেন তা আগে কখনো হয়নি। নতুন অঞ্চলে আমাদেরও আগ্রহ ছিল এবং প্রধানমন্ত্রী এতে অনুমোদন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন রেলের সেবা থেকে কেউ যাতে বঞ্চিত না হয়।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, ‘রেলওয়ের এত উন্নয়নের পরও রেল নিয়ে সাধারণ মানুষের একটা ‘না’-বোধক ধারণা আছে, সেই না ধারণাকে ‘হ্যাঁ’ ধারণায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এ কারণেই এবং মানুষ যাতে আরো অনেক বেশি সেবা পায় সে কারণেই অঞ্চল ভাগ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ বিদ্যমান উন্নয়ন কর্মকান্ড যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখছে সংশ্লিষ্টরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব রায়হান, পাকশী রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন, পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম, বিভাগীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট রেজাউন-উর-রহমান প্রমুখ।