জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্সের পরিচালনায় বক্তব্য দেন সম্মেলনের উদ্বোধক আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে, দমিয়ে রাখতে, নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করতে একের পর এক হামলা, মামলা, দাঙ্গা, দমনপীড়নের মতো নানা ঘটনা ঘটিয়েও তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারেনি।
আব্দুর রহমান বলেন, ২১ বার মৃত্যকে জিতেছেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই তাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ তিনিই আজ বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের অনবদ্য এক রুপকার।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার অর্জন মানেই বাংলার মানুষকে মুক্তির সনদ দেয়া। তিনি যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানেই সোনা ফলিয়েছেন। দেশের সার্বিক উন্নয়ন একজন সাধারন মানুষকে জানান দেয়, শেখ হাসিনার সরকার কি করতে পারেন। দেশের উন্নয়নের স্বপ্ন ছাড়া তিনি আর কিছু দেখেন না।
আব্দুর রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবাসহ আত্মীয় স্বজনদের মতোই বুক পেতে আছেন জীবন দিতে। তাহলে আমরা নেতাকর্মীরা কেন তাদের অনুসরণ করতে পারবো না।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী ট্যানেল, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিএনপি চায় না। তারা চায় চোর জিয়াকে দেশে এনে কিভাবে সরকার গঠন করে নতুন রুপে চুরি করতে পারে দেশের মানুষের সম্পদ।
নির্বাচন কমিশন গঠনে বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি নেতারা যে পরিমান সংশোধনী দিয়েছেন, সেখানে এই বিল তো বিরোধীদলের বিল। তারপরও তারা কি মানে না।
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বাংলাদেশে আর নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, অন্ধকারের পথ ধরে ক্ষমতায় আরোহন করা সম্ভন নয়। আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
শেখ হাসিনার সরকার ৫০০/১০০০ টাকায় মুঠোফোন দিয়েছেন। অথচ বিএনপির সরকার লক্ষ লক্ষ টাকায় এক একটি মোবাইল বিক্রি করে সাধারন মানুষের পকেট কেটে সর্বনাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এখন জোট গোছাচ্ছে আওয়ামীলীগকে প্রতিহত করতে। অথচ এখন আওয়ামীলীগের অভূতপূর্ব উন্নয়নে জনগন আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে জোটবদ্ধ হচ্ছেন।