নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন এলাকাধীন বরইছড়ি কর্ণফুলী নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দীর্ঘ ৩১বছর পার হলেও ওই বিদ্যালয়ে নেই কোন শহীদ মিনার। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি এ দিন এলে শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে বিরত থাকেন বিদ্যালয়ের সকলে, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শহীদ মিনার না থাকায় তাই হয় না বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে একুশে ফেব্রুয়ারির কোন আয়োজন। যদিও সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক।
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বরইছড়ি কর্ণফুলী নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজও পর্যন্ত কোনো শহীদ মিনার তৈরি হয়নি।
এতে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা জানতে পারছে না ভাষার সঠিক তাৎপর্য, জানাতে পারছে না ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা। অথচ আজ মঙ্গলবার একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে দেশব্যাপী ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এই দিনে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। এদিন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়।
তবে প্রতিবছরের মতো এবারও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো বরইছড়ি কর্ণফুলী নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীসহ (প্রকাশে অনিচ্ছুক)একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলে শহীদ মিনার নেই, তাই ফুল দিতে পারি না। শহীদ মিনার না থাকার কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি ভালোভাবে পালন করতে পারি না। এছাড়া ওইদিন কোনো ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসতে চায় না।
এ বিষয়ে ঔ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র নাম (প্রকাশে অনিচ্ছুক) তিনি বলেন, ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়ে ছিলেন, যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি, যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি সেই শহীদের জন্য আমরা গর্ব করি। দুঃখের বিষয় আমাদের
বরইছড়ি কর্ণফুলী নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নেই।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নাম (প্রকাশে অনিচ্ছুক) বাংলা ৭১’কে জানায়, ২১ ফেব্রুয়ারির দিন আমাদের বড় ভাইয়েরা বাঁশ, ইট, কলা গাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে। আমরা ওখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাই। অনুসন্ধানে জানা যায, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ স্কুলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির কেউ কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদদের স্বরনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে পারিনি।
এব্যাপারে স্থানীয় সচেতন মহল আক্ষেপ করে বলেন, প্রায় তিন যুগের কাছাকাছি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বয়স হলেও শহিদ মিনার ঘরে ওঠেনি।এই ব্যর্থতা দায় বার সংশ্লিষ্ট বিভাগ অস্বীকার করার দায় এরাতে পারেনা।বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ মাধ্যমে একটি শহীদ মিনার নির্মিত হওয়ার মধ্য দিয়ে সকলের প্রত্যাশা পুরণসহ আগামীকাল ভাষা শহীদদের ফুলের শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।