নিজস্ব প্রতিনিধি : উল্টো ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মত বিনিময় কালে পেশাদার সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানালেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে, এবিষকে কেন্দ্র করে হাস্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
গত ২১ মে কাপ্তাইয়ের কতিপয় চাকুরীজীবি নামধারী সাংবাদিক বিভিন্ন দপ্তরে ফুলেল তোরা নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে দপ্তর প্রধানদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গেলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পরেন কর্মকর্তারা, তারা বলেন যদি কেউ সভাপতি – সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়ে থাকেন তাহলে প্রথমত কাপ্তাই প্রেস ক্লাবে যারা সম্পৃক্ত আছেন তাদের মধ্যে থেকে কেউ ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে দেখিনি। অথচ আমাদের’কে উল্টো ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন বিষয়টি নিয়ে আমরা দ্বিধাদন্ডে আছি।
এবিষয়কে কেন্দ্র করে হাস্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অনেকে মাঁঝে প্রশ্ন জাগে এর আগে উল্টো ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে কখনো কাউকে দেখিনি। এসব ব্যাপারে গণমাধ্যম কে জানালেন কাপ্তাই উপজেলা বিউবো কাপ্তাই ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের, কাপ্তাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংক্য মারমাসহ আরও অনেকে।
এই বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে এক আলোচনায় কাপ্তাই প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহফুজ আলম থেকে কাপ্তাই উপজেলা সুযোগ্য চেয়ারম্যান ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুল হক জানতে চাইলে সাংবাদিক মাহফুজ আলম বলেন,কাপ্তাই প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র মেনে বস্তুনিষ্ঠ দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করা গেলে এবং সাংবাদিকদের প্রতি সাধারণ পাঠকদের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনতে নৈতিকভাবে সকলকে আদর্শিক হতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে নিজের ভালো-লাগা না-লাগা সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করা তা মোটেও অসম্ভব নয়।
এছাড়া দেশ-জাতি ও এলাকার স্বার্থে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রকাশের পাশাপাশি দেশের গরীব অসহায়-অবহেলিত সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের খবর তুলে আনতে হবে নিঃস্বার্থভাবে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং নীতির প্রশ্নে কারো তাবেদারি করা যাবেনা। যত বাঁধাই আসুক ন্যায়ের সিদ্ধান্তে অটুট থাকলে এই পেশায় কেউ কাউকে দাবিয়ে রাখতে পেরেছে, পৃথিবীর কোথাও এমন নজীর নেই। কতিপয় চাকুরীজীবী নামধারী সাংবাদিকদের কাপ্তাই প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ক্ষমতার অপব্যবহার কারণে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগে পেশাদার সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালিয়ে স্বার্থান্বেষী একটি মহল অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি সাংবাদিকের মানসিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে উঠেছে কাপ্তাইয়ে।যেটি অত্যন্ত দুঃখজন।
কাপ্তাইয়ের সকল প্রান্তের সাংবাদিকদের পেশাগত স্বার্থে প্রয়োজনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে আরো সুদৃঢ় করতে হবে এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ করার ক্ষেত্রে আরো প্রতিভা ও উদার চিন্তাধারার বিকাশ ঘটাতে হবে। কাপ্তাই উপজেলার কর্মরত সকল সাংবাদিকদের একই পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবহিত করনের মধ্য দিয়ে অনুরোধ জানানো হলে তিনি ঘটনমূলক বক্তব্য রাখেন এবং পরামর্শ দিয়ে বলেন গণমাধ্যম কর্মীরা জাতির বিবেক,আপনাদের লিখনীর মাধ্যমে সমাজের নানা অসঙ্গতি উঠে আসবে এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে প্রচারে প্রসার ঘটাতে হবে। আমরা চাই না গণমাধ্যম কর্মীদের দ্বিধাবিভক্তি, সকলের সমন্বয় সাধিত করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে। কাপ্তাই গণমাধ্যম কর্মীদের সৃষ্ট ভুল বুঝাবুঝির ঘটনা অবসান ঘটাতে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন ও কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আলোচনা করার একটি বৈঠকের চিন্তাভাবনা চলছে।
আশাকরি এই বৈঠকে সকলের মাঝ থেকে ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটবে এবং কাপ্তাই প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র মোতাবেক একটি সুন্দর পূর্ণাঙ্গ প্রেসক্লাব ঘটিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নেতৃবৃন্দরা আশা করেন এ ব্যাপারে সকল ভেদাভেদ ও মনোমালিন্য ভুলে কাপ্তাইয়ের পেশাদার সকল সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধ হবেন, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনে সাংবাদিকরা মুগ্ধ হলেন।
উক্ত আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান মফিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা, রাইখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ কার্বারী, কাপ্তাই প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি সাংবাদিক মাহফুজ আলম,সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রবিউল হোসেন চৌধুরী মো. রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক রিপন মারমা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক অরূপ কুমার দে অপু,দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক উকিংপ্রু মারমা, সাংবাদিক কাজী মোশারফ হোসেনও ঝুলন দত্ত।