ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের নামে দুদকের মামলা

ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের নামে দুদকের মামলা

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : গ্রামীণ টেলিকম থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. নাজমুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি করেন। ড. ইউনূস ও নাজমুল ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক ও সাবেক এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্তাদি লঙ্ঘনপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেওয়ার রায়ে স্থিতাবস্থা : ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাই কোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল রুল জারিসহ এই আদেশ দেন। এর ফলে রায় বাস্তবায়নের বিষয়টি যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। রুলে অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ওই রায় কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শ্রম সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ৩ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল। পরে ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।

ড. ইউনূস
Comments (0)
Add Comment