নতুন অর্থবছর ২০২৩-২৪ এ নতুন করে ৭.৩৫ লাখ বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং সেভাবেই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া, প্রায় এক দশক পর ২০২৩-২৪ অর্থবছর বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার পরিমাণ কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে পণ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে। সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন বিবেচনায় সভায় অংশ নেওয়া প্রতিটি মন্ত্রণালয় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাতার পরিমাণ ও উপকারভোগী বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং প্রতিবন্ধী ভাতা সকল কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ২৩,৭৪,০০০ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। তাতে সব মিলিয়ে নতুন অর্থবছর ব্যয় বৃদ্ধি পেত ৩,৪৪৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী জানান দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। এ অবস্থায় সকল ক্যাটাগরিতে উপকারভোগী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয়। এই অর্থবছরের বাজেটে নতুন করে যে ৭.৩৫ লাখ মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এসেছে, তার মধ্যে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা বাড়বে ৫.৩৫ লাখ। এছাড়া, বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়বে এক লাখ করে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও এরমধ্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং প্রতিবন্ধী ভাতা-প্রাপ্ত ১০,৬৪,১০০০ জন বছরে মোট ভাতা পান ৭,৪৬৫ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ অর্থের বড় অংশই ব্যয় হয় সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন, সঞ্চয়পত্রের সুদ, সরকার পরিচালিত বিভিন্ন তহবিল এবং সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণসহ ছোট-খাট বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে।
বর্তমানে এক লাখ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী প্রতি মাসে উপবৃত্তি পায়। প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা মাসে ৭৫০ টাকা, মাধ্যমিকে ৮০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিকে ৯০০ টাকা এবং উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা মাসে ১,৩০০ টাকা হারে বৃত্তি পান। এতে এবছর সরকারের ব্যয় হবে ৯৫.৬৪ কোটি টাকা। এতে এবছর সরকারের ব্যয় হবে ৯৫.৬৪ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মাসে ১, ১০০ টাকা, মাধ্যমিকে ১,৩০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিকে ১,৪০০ টাকা এবং উচ্চতর পর্যায়ে ১,৬০০ টাকা প্রস্তাব করেছিল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হতো ৪৮.৮৯ কোটি টাকা। সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসে ৮৫০ টাকা হারে ভাতা দেয়। চলতি অর্থবছর ২৩.৬৫ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে এ সুবিধা দিতে বরাদ্দ রয়েছে ২,৪২৯.১৮ কোটি টাকা।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সবচেয়ে বেশি মানুষ সুবিধা পান বয়স্ক ভাতার আওতায়। চলতি অর্থবছরে ৫৭.১০ লাখ বয়স্ক নাগরিক প্রতি মাসে ৫০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন। এতে চলতি অর্থবছরে সরকারের ব্যয় হবে ৩,৪৪৪.৫৪ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছর বয়স্কদের ভাতার পরিমাণ ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়। তারপর সাত বছর কেটে গেলেও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে বয়স্কদের ভাতার হার বাড়ানো হয়নি।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে বয়স্ক ভাতার পরিমাণ ৬০০ টাকা নির্ধারণসহ ১১.৪৯ লাখ উপকারভোগী যোগ করার প্রস্তাব করেছিল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এতে অতিরিক্ত ১,৫২২ কোটি টাকা ব্যয় হতো। অর্থ মন্ত্রণালয় বয়স্ক ভাতার উপকারভোগীর সংখ্যা এক লাখ বাড়ানোর পাশাপাশি ভাতার হার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছেছ। ফলে বয়স্ক ভাতায় নতুন অর্থবছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৭৬১.৪২ কোটি টাকা।
এছাড়া, বর্তমানে ২৪.৭৫ লাখ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মাসে ৫০০ টাকা হারে ভাতা পান। এতে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ আছে ১,৪৯৫.৪০ কোটি টাকা। ভাতার এই হারও সাত বছর আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা আর বাড়েনি। এবার ভাতার হার ৬০০ টাকা নির্ধারণসহ উপকারভোগীর সংখ্যা ৬.৯০ লাখ বাড়ানোর প্রস্তাব ছিল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ১১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে। তবে এর ৩০ দশমিক ৫৯ শতাংশই ব্যয় হবে সরকারি চাকরিজীবী ও তাঁদের পরিবারের পেনশন এবং সঞ্চয়পত্রের সুদহারে সামাজিক নিরাপত্তা প্রিমিয়াম বাবদ। সামাজিক নিরাপত্তার বরাদ্দ থেকে পেনশন এবং সঞ্চয়পত্র বাদ দিয়ে দরিদ্র ও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করে আসছেন। বাজেটের আগে ঢাকায় আসা আইএমএফের মিশনও একই সুপারিশ করে। সত্যিকারের সামাজিক সুরক্ষা নয় এমন অনেক কর্মসূচি যুক্ত করে বাজেটে অনেক বরাদ্দ দেখানো হলেও গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল। তাছাড়া উপকারভোগী নির্বাচনে ত্রুটি থাকায় যাঁরা এ ধরনের ভাতা পাওয়ার যাগ্য নন, তাঁরাও পাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেকে পাওয়ার যোগ্য হলেও পাচ্ছেন না।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আগামী অর্থবছরে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা করা হয়েছে। এ বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে যা ছিল ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশ ও ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ন্যায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও এ ক্ষেত্রে ১১৫টি কর্মসূচির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ও তাঁদের পরিবারের পেনশন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা, যা মোট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দের ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ। অর্থাৎ মোট বরাদ্দের ৫ ভাগের ১ ভাগ এ খাতে ব্যয় করা হবে। সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে সামাজিক নিরাপত্তা প্রিমিয়াম হিসেবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ হাজার ২১৭ কোটি টাকা। এ দুই খাতেই ব্যয় হবে মোট ৩৮ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৩০ শতাংশের বেশি। ব্যাংক ঋণের সুদহারের তুলনায় জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বেশি সুদ দেওয়া হয়। সুদহারের একটি অংশ সরকার প্রিমিয়াম হিসেবে সামাজিক নিরাপত্তার বরাদ্দ থেকে দেয়।
সামাজিক সুরক্ষার বরাদ্দ থেকে কৃষি ভর্তুকির জন্য রাখা হয়েছে ২১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। সরকার পরিচালিত বিভিন্ন তহবিল এবং সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণসহ ছোটখাটো অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হবে। এসএমই খাতের জন্য সুদ ভর্তুকি রয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। দেশের প্রায় ১২ কোটি মানুষের পকেটে যাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা। এর মধ্যে অন্তত সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার নানা কর্মসূচির ভাতা পাবেন ২ কোটি মানুষ। এ খাতে সরকারের বরাদ্দ প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৬.৫৮ শতাংশ এবং জিডিপির প্রায় ২.৫২ ভাগ।
বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ছিল ৫৭ লাখ ১ হাজার। চলতি অর্থবছরে ১ লাখ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৫৮ লাখ ১ হাজার। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৫ হাজার থাকলেও এ বছর তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জন। মাসিক ভাতার হারও ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৫৫০ টাকা।
প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ৬৫ হাজার। এ বছর তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৯ লাখ। প্রতিবন্ধী ডাটাবেজে যারা রয়েছে, সবাই এ কর্মসূচির আওতায় থাকবেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির হার বাড়িয়ে প্রাথমিক স্তরে ৭৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৯০০ থেকে বাড়িয়ে ৯৫০ টাকা করা হয়েছে। এ সুবিধার আওতায় থাকবে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া উপবৃত্তির আওতায় রয়েছে প্রায় ১৮ লাখ শিক্ষার্থী। এতদিন স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এই সুবিধার আওতায় না থাকলেও চলতি অর্থবছরে তাদেরও এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৮১৫ জন থেকে ৬ হাজার ৮৮০ জনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষ ভাতাভোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬০০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ হাজার ৬২০ জনে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাতাভোগীর সংখ্যা ৭০ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮২ হাজার। বিশেষ ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪৫ হাজার থেকে ৫৫ হাজার করা হয়েছে। এ ছাড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মধ্যে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়ে ২৭ হাজার করা হয়েছে। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১৩ লাখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কার্যক্রমে উপকারভোগীর ভাতার হার দৈনিক ২০০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকায় বৃদ্ধি করা হয়। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশুদের সুরক্ষায় ভাতা দেওয়া হবে প্রায় ১৩ লাখের বেশি জনকে।
সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ও জীবন ঝুঁকি হ্রাসকল্পে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় বঙ্গবন্ধু প্রতিবন্ধী সুরক্ষা বীমা চালু করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে থেরাপিউটিক সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় মোট ১৩০টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র পরিচালনা করা হচ্ছে। নতুন করে ২১১টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালুর অপেক্ষায়। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য বিনামূল্যে সহায়ক উপকরণ বিতরণ, অবৈতনিক স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম পরিচালনা, অটিজম রিসার্চ সেন্টার পরিচালনা, কর্মজীবী প্রতিবন্ধী পুরুষ ও নারী হোস্টেল পরিচালনা, পিতৃ-মাতৃহীন প্রতিবন্ধী শিশুনিবাস পরিচালনাসহ নানা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা শহরে ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএসের চাল বিক্রয় করা হয়।
লেখক : প্রাবন্ধিক ও রিসার্চ ফেলো