গণতন্ত্র আদর্শ শাসনব্যবস্থা

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্ত সর্বোচ্চ আইন। বাংলাদেশের সংবিধান লাখো শহীদের রক্তে ভেজা দলিল। সাংবিধানিকভাবে গণতন্ত্র রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আদর্শ শাসনব্যবস্থা। সংসদীয় শাসনব্যবস্থা হলো গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রতীক। গতকাল রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন জুডিশিয়ারি অ্যাক্রোস দ্য বর্ডারস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. এনায়েতুর রহিম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নেপালের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বম্ভর পিডি শ্রেষ্ঠ।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় মানবাধিকার চর্চার মাধ্যমে সাংবিধানিক কাঠামো দৃঢ় হয়ে থাকে। স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পরপরই স্বাধীন দেশের জন্য একটি সংবিধান রচনায় নিজেকে ব্যাপৃত করেন। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ সংবিধান রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রণয়ন করেন, যেটি ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে অন্যতম একটি অঙ্গ হলো বিচার বিভাগ। নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও জবাবদিহির মধ্যকার ভারসাম্য রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় স্পিকারকে বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তিনিও প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে একটি গ্রুপ ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ভুটান হাই কোর্টের বিচারপতি লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন এবং অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মো. আমিন উদ্দিন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

অশ্রেণীভুক্ত
Comments (0)
Add Comment