নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গ্রুপিং, বিরোধ, দলীয় কোন্দল-দ্বন্দ্ব, প্রভাব ও ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তার নেই বললেই চলে। দলীয় নেতাকর্মিদের সাথে নিয়ে সবাই একমত, একপথের যাত্রী হয়ে সাংগঠনিক কর্মকান্ড শান্তিপূর্ন পরিবেশে পালন করে আসছি। প্রাচীন জেলা পাবনা। এ জেলার রয়েছে নানা ইতিহাস-ঐতিহ্য, সুনামখ্যাতি। রয়েছে নানা গুণিজনের বিচরণ, জন্ম ও অবস্থান।
এই জেলাতেই একাধিক বার এসেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই মাটিতে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে কোন ধরণের বিরোধ থাকাটা কাম্য নয় এমন দাবী জানিয়েছেন সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা খুবই ভালো ও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। আমাদের কোন গ্রুপিং নেই। আমরা সবাই একমত, এক পথ হয়েই আমরা রাজনীতি করে আসছি। প্রয়াত সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, ভাষাসৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ ডিলু অত্যন্ত সাংগঠনিক মানুষ ছিলেন। তার শূন্যতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা এখন তাকে সাথে নিয়েই মিলে মিশেই আছি। জেলা আওয়ামী লীগ বর্তমানে সাংগঠনিক ভাবে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি দলের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সকল নেতাকর্মিকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রত্যেকটি জাতীয় কর্মসূচী সফলতার সাথে পালন করছি। জাতীয় কর্মসূচী পালনের আগে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বৈঠক করে কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তারপর ঐক্যবদ্ধ ভাবে কর্মসূচী গুলো সফল করা হয়।
দলের মধ্যে কোন্দল, দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারের বিষয়ে গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি বড় সংগঠন, তারপর পরপর তিনবার আমরা ক্ষমতায় রয়েছি। এখানে জেলার বিভিন্ন থানা পর্যায়ে নেতৃত্বের কিছু প্রতিযোগিতা আছে এটা অস্বীকার করা যায় না। তবে এমন কোন পরিবেশ হয়নি যে কেই কাউকে সহ্য করতে পারছেন না। এটা রাজনৈতিক কমপিটিশন বলতে পারেন। বড় একটি দলের মধ্যে ছোট খাটো ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না এটা শতভাগ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়গুলোও নিষ্পত্তিতে আমরা কিন্তু কাজ করছি। পাবনায় আওয়ামী লীগ শুধু সাংগটনিক সংগঠন নয়, জনসমর্থিত এবং জনবান্ধন সংগঠন কিভাবে করা যায়, প্রতিনিয়ত আমরা নেতাকর্মিরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী জনগণের ভেতরে প্রবেশ করতে পেরেছি। আর এই পারাটা আগামিতে আরও গভীর ও জনকল্যাণকর হয় সেই বাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
দলে অনুপ্রবেশকারী ক্ষেত্রে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ছাড়া দলে অনুপ্রবেশের কোন সুযোগ নেই। জেলায় কোন যোগদান হলে সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই হয়েছে। এখানে জেলার নেতাদের কোন হাত নেই। তিনি বলেন, কোন অনুপ্রবেশকারীর কর্তৃত্ব বা রাজনৈতিক ভাবে প্রভাব বিস্তার করা সুযোগ অন্তত পাবনাতে নেই। আমরা জেলা আওয়ামীলীগ সুসংগঠিত, এখানে কোন গ্রুপিং নেই, দ্বন্দ্ব বা সংঘাত নেই। কাজেই পাবনাতে কোন অনুপ্রবেশকারী বা হাইব্রিড নেতাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ নেই।