এস এম রিমন হোসেন স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর পর ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি হতে যাচ্ছে বলে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে পাবনা জেলা যুবলীগের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষনা দেয়া হয়। ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস কে দেখতে চায় উপজেলার সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীবৃন্দ।
এছাড়াও তৃণমূল আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবর্গ তার শিক্ষা-দীক্ষা, আচার-আচরণ, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে অত্যান্ত স্নেহ করেন। এবং তারা আশা করেন যদি আগামীদিনে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের দায়িত্ব দোলন বিশ্বাসকে দেওয়া হয় তাহলে যুবলীগকে তার সাংগঠনিক দক্ষতায় আরও কার্যকরী ও গতিশীল করতে সক্ষম হবে।
শুধু যুবলীগ নয় ঈশ্বরদীর আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিট (ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ) ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস। তিনি এই অল্প বয়সেই যেন ঈশ্বরদীর গণমানুষের নেতা হয়ে উঠেছেন।
তার এই ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারন দীর্ঘ করোনায় দুই বছর দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন টালমাটাল তখন তিনি ঈশ্বরদীর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একঝাক তরুণদের সাথে নিয়ে গরিব, অসহায় ও দুস্থদের পাশে অর্থ, খাদ্য, অক্সিজেন ও গরম পোষাক নিয়ে সারাক্ষণ সেবা করে গেছেন। করোনাকালীন সময়ে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন মানুষের কষ্ট লাঘব ও করোনার বিস্তার রোধের জন্য।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও মানবিক যুবলীগ গড়তে “বিশ্বাসে ভরশা, নিঃশ্বাসে প্রাণ নিঃশ্বাসে জীবন”, স্লোগানকে মূলমন্ত্র মেনে করোনা অতিমারির শুরুর থেকে কখনো করোনা প্রতিরোধ কমিটি করে, আবার কখনো নিঃশ্বাস সহায়তা নিয়ে ঈশ্বরদী অলিগলিতে দিক-বিদিক ছুটে বেড়িয়েছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা।
করোনা প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক ও বিশ্বাস ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান যুবলীগনেতা তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস। বাবা ৩ বারের উপজেলার চেয়ারম্যান এবং বর্তমান পাবনা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য। তার পিতা নুরুজ্জামান বিশ্বাস সারাজীবন পার করেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে, জীবনটাকে পার করেছেন সৎ আদর্শ নিয়ে, লোভ-লালসা, অসাধুতা কখনও তাকে ছুয়ে দেখতে পারেনি। পিতার মতোই সাংসদপুত্র নিজেই স্বেচ্ছাসেবী সহ মানবিক নানা কাজের সাথে সম্পৃক্ত আছেন।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির পর থেকে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার গলিতে গলিতে ছুটে বেড়িয়েছেন খাদ্য পণ্য ও করোনা সুরক্ষা সামগ্রী,অক্সিজেন,শীতে গরম পোষাক নিয়ে।
দেশের চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে নিজস্ব আর্থিক তহবিলে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ছুটে কোভিড-১৯ রোগীর জন্য তিনি অক্সিজেন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। অতি জরুরিতে কখনো নিজেই ছুটেছেন মটর সাইকেলে আবার কখনো সহযোগিতার টিমকে পাঠিয়েছেন বাড়িতে বাড়িতে। গরীব, অসহায়, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে বিনামুল্যে এই অক্সিজেন পৌছে দিয়েছে তার সহযোগী টিম গুলো, সার্বিক তত্বাবধান থেকে শুরু করে সব কিছুই সামলিয়েছেন তিনি।
আবার দীর্ঘ সময় করোনা সংক্রমন যদি চলমান থাকে সেজন্য ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার মানুষের জন্য গড়ে তুলেছেন বিশ্বাস ফাউন্ডেশন। বিশ্বাস ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে দলের তৃনমূল নেতাকর্মীদের সহযোগিতা, গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মহামারির শুরু থেকে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া খাদ্য পণ্য, করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছিলেন তিনি ও তার সহযোগী যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ তারই নেতৃত্বে যারা হাসপাতালে যেতে পারে না সেই সব রোগীদের নিঃশ্বাস সহায়তা থেকে ফ্রীতে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া শুরু করেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির পর থেকে বাংলাদেশে হু-হু করে বেড়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম। যে সিলিন্ডার এক সময় পাঁচ হাজার টাকায় পাওয়া যেতো সেটির দাম গিয়ে ঠেকেছে ১৫ -২০ হাজার টাকায়। অসহায় গরিব, ছিন্নমূল ও দলের তৃনমূল নেতাকর্মীদের অক্সিজেন সেবা দেওয়ার জন্য তিনি নিরন্তর কাজ করেছেন।
তৃণমূল আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, দোলন বিশ্বাস ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে ঈশ্বরদী উপজেলার ছাত্র ও যুবসমাজকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বর্তমানে যুবলীগ নেতাকর্মীদের নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও তার নির্দেশনায় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আওয়ামী যুবলীগের প্রতিটি কার্যক্রম সফল করার পিছনে মূখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তিনি।ঈশ্বরদী যুবলীগে সাংগঠনিক দক্ষতা ও কার্যক্রম বৃদ্ধি করে সংগঠন কে নিয়ে গেছেন অন্য্যন্য উচ্চতায়।
এদিকে ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ছাত্রলীগ কর্মী ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাসকে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দেখতে চায় জানিয়ে পোষ্ট করায় বিষয়টি ছড়িয়ে পরে। একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সকল যুবলীগ ও অন্যান্য নেতা-কর্মীরা যোগ্য নেতৃত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা।