পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় জনবল নিয়োগে অর্থবাণিজ্য, অনিয়ম, আত্মীয়করণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মির্জাপুর গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ১৮/১২/২০২০ ইং তারিখে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় মির্জাপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় সুপারিনটেন্ডেন্ট, সরকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার, নিরাপত্তা কর্মি ও আয়া নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এলাকার বেকার কিছু প্রার্থী সেখানে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চাকুরিপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য চিঠি ইস্যু করা হয়। অথচ নাটকীয় ভাবে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে অর্থের বিনিময়ে যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও পর্ষদের আরেক সদস্যদের আত্মীয়কে চাকুরি দেয়া হয়েছে।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, চাকুরি প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চাকুরি দেয়ার সমঝোতা হয়। তারপরও আত্মীয়করণ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চাকুরি দেয়া হয়েছে। ওই টাকা মাদরাসার সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমা না দিয়ে মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। একই সাথে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাদ্রাসা জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮, নভেম্বর/২০ (সংশোধিত) বিধিপরিপন্থি ভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র কাটাছাটা করে ৩৫ বছরের উর্দ্ধে মনোনীত ব্যক্তিকে চাকুরি দেয়া হয়েছে।
অভিযোগকারীদের দাবী, তদন্ত করে অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিধিমালা পরিপন্থি এই নিয়োগ বাতিল করে নুতন করে নিয়োগ বোর্ড গঠন পূর্বক নিরপেক্ষ ভাবে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের চাকুরি দেয়ার জোর দাবী জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়োগকালীন মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার হাবিবুর রহমান নিয়োগে আত্মীয়করণ ও নিয়োগকৃত প্রার্থীর বয়স বেশি হওয়ায় বয়স সংশোধনীর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এই নিয়োগে আর কোন দূর্নীতি হয়নি। আর মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবু হানিফ উজ্জল বিশ্বাস বলেন, একটি পদে একাধিক প্রার্থী থাকলে সবাইকে চাকুরি দেয়া সম্ভব নয়। যারা পরীক্ষায় ভালো করেছেন এবং যোগ্য কেবল তাদেরকেই বিধি মেনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোন অনিয়ম, অর্থবাণিজ্য বা অর্থআত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি। তবে নিজের ভাইকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।