পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলাতে কিট ও এ্যাম্পুল সংকটে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বও, সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) থেকে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বুধবার (১০ জুন) সর্বশেষ মজুত থাকা কিট দিয়ে ৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত একটি পরীক্ষাও করা যায়নি।
ঈশ্বরদীতে বুধবার পর্যন্ত ৬৮১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০০ জনের প্রতিবেদন এসেছে। এর মধ্যে ১৮ জনের প্রতিবেদন পজিটিভ এসেছে। তবে ২ জন নাটোর ও ১ ব্যক্তির কুষ্টিয়া থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
পৌরসভার শেরশাহ্ রোড এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে আমার ভাইয়ের নমুনা দিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে জানানো হয়, কিট ও এ্যাম্পুল সংকটে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ। ভাইয়ের দ্রুত নমুনা পরীক্ষা করাতে না পারলে আমাদের পরিবারকে এখন ঝুঁকি ও আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এফ এ আসমা খান বলেন, বুধবার তাদেও হাতে ৫১টি কিট ছিল। সেগুলো দিয়ে শেষ দিনের মতো নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আজ পরীক্ষা করার মতো কোনো কিট ও এ্যাম্পুল নেই। এ কারণে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩০০ নমুনা পরীক্ষার অপেক্ষায় জমা পড়ে আছে। তাদেও মধ্যে বেশির ভাগই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজে যোগদান করতে আসা ব্যক্তি রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বুধবার তারা কিটের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কিট সরবরাহের বরাদ্দপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেখান থেকে কিট সরবরাহ করা হয়, সেখানে গেলে জানানো হয়, কিট ফুরিয়ে গেছে। সবকিছু ঠিক করে আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে আবারও নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে ঈশ্বরদীতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে নতুন করে ছয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের স্বামী ও শ্বাশুড়ি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাবুর্চি একজন, ব্র্যাক ব্যাংক ঈশ্বরদীর শাখার পরিচালক, ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি গ্রামের বাসিন্দা আশা এনজিও পাবনা শাখার কর্মী ও লালপুর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজে যোগদান করতে আসা একজন রয়েছেন।
উপজেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় ২ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।