পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ১৩টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান। তারা নগদ টাকা, খাদ্য সামগ্রী সহ ঘর নির্মাণে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে ছুটে যান উপজেলা চেয়ারম্যান ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার। তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ দশ হাজার টাকা দেন ক্ষতিগ্রস্থদের। এছাড়া রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে ২টি তাঁবু, ১৩টি কম্বল, ১৩টি পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, লবন, সুজি, চিনিসহ খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করেন তিনি। সেইসাথে ক্ষতিগ্রস্থদের পানি সরবরাহের জন্য একটি সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করে দেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ দশ হাজার টাকা প্রদান করেন।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, ডিবিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নবীর উদ্দিন মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, ৫ নং ইউপি সদস্য আফসার আলী। এসময় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি পাবনার ইউনিট লেভেল অফিসার দেলোয়ার হোসেন, অফিস সহকারি আরিফ হোসেন, যুব রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শণ করেন। তিনি এ সময় ঘর নির্মাণের জন্য প্রতিটি পরিবারকে ঢেউটিন এবং প্রতি বান্ডিল টিনের জন্য নগদ তিন হাজার টাকা প্রদানের আশ্বাস দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি তাৎক্ষনিকভাবে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
একইদিন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শণ করেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাসাদুল ইসলাম হীরা। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতে ৩০ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন। এ সময় পৌর বিএনপির আহবায়ক আসাদুজ্জামান আরশেদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার তাৎক্ষনিকভাবে ডিবিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নবীর উদ্দিন মোল্লা নগদ ৯ হাজার টাকা প্রদান করেন ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায়। এছাড়াও এলাকার সামর্থবান ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা সহযোগিতা করেছেন। এদিকে, এখনও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অন্যের বাড়িতে চলছে তাদের থাকা-খাওয়া। নেই পড়নের কাপড়-চোপড়। সবার সহযোগিতায় ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে তারা।