মহেশখালী প্রতিনিধি : চকরিয়া সুন্দরবন রেঞ্জের আওতাধীন উজানটিয়া বনবিটের অধীনস্থ মহেশখালী- মাতারবাড়ী চ্যানেলের লাগোয়া সৃজিত প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন পেকুয়া উপজেলার চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ঘের দখল করতে ১০/১৫ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একত্রিত করে প্রকাশ্যে অস্ত্র মহড়ার বসিয়ে স্কেভেটার দিয়ে এ ঘের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় পাশ্ববর্তী লবণ চাষীসহ উপকূলীয় এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
অপরদিকে মাতারবাড়ী চ্যানেলের পূর্ব পার্শ্বে ডউয়াখালীর পশ্চিমে কোহেলিয়া নদীর পাড়ে রয়েছে বিশাল প্যারাবন। কিন্তু পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও ডউয়াখালীর বাসিন্দা সিরাজ মেম্বারের নেতৃত্বে একটি সেন্ডিকেট ওই এলাকার প্যারাবন কেটে কয়েকটি চিংড়ি ঘের নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। কয়েকবছর যেতে না যেতে পুনঃরায় ওই সিন্ডিকেট উপকূলের শতাধিক একর প্যারাবন কেটে ইতিমধ্যে সাবাড় করে ফেলেছে। এমনকি ৭এপ্রিল সকাল থেকে উল্লেখিত স্থানে স্কেভেটর দিয়ে বিরতিহীনভাবে চিংড়ি ঘের নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
জানাগেছে, উক্ত চ্যানেলের মাতারবাড়ীসস্থ মাছ ধরার জেলে ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কাকঁড়া সংগ্রহকারীরা জানান- নদী খেকোরা এভাবে নদী দখলের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত থাকায় আমাদের দৈনন্দিনের আয় একেবারে শূণ্যের কোটায় নেমে এসেছে। নদীর পূর্ণতা রক্ষা এবং আমাদের দু’মুটো আহার যোগাড়ের সহায়স্থলটি নদী খেকোর অবৈধ দখল থেকে উম্মুক্ত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবেশবাদী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোরালো দাবী জানাচ্ছি।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সিরাজ মেম্বার হতে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরের বলে জানান। বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করতে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এটি ২০১২ সালে দশ একর জায়গা সরকার থেকে লীজ নিয়ে মাটি কেটে ঘের করতেছে বলে জানান। এ ব্যাপারে উজানটিয়া-সুন্দরবনের রেঞ্জ কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, নতুনভাবে নদী দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণের বিষয়টি আমি অবগত নয়। তবে খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।