ইয়াছিন আরাফাত : চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের আওতাধীন মহেশখালী রেঞ্জের অধিন দিনেশপুর বিট এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে নির্বিচারে পাহাড় কেটে নির্মিত হচ্ছে অবৈধ বসতি। উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের মুখবেকি এলাকায় পাহাড় কেটে বসতি নিমার্ণের ধুম পড়লেও নীরব ভূমিকা পালন করছে সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ।
অভিযোগ উঠেছে দিনেশ পুর বিট কর্মকর্তা জুবাইয়ের নেতৃত্বে বিপুল টাকার বিণিময়ে সরকারী জমিতে ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন তিনি। সরেজমিনে দেখা যায়, শাপলাপুর মুকবেকী মৌজার বড়খোলা আলা উদ্দিনের দোকান সংল্গন এলাকায় ২ টি স্পটে বনবিভাগের জায়গা দখল করে পাহাড় কেটে গড়ে উঠছে বিভিন্ন আকৃতির কাঁচা ও আঁধাপাকা ঘর-বাড়ি। মুকবেকি বড়খেলা এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী মকবুল আহমদের পুত্র মোহাম্মদ মাশুক ও তার স্ত্রী পারভীনের নামে স্থানিয় আব্বাসের দখলকৃত ১৫ কড়া জায়গা ক্রয় করে ঘর করতে গেলে বনবিট কর্মকর্তা জুবাইরকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ঘর করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তভোগি পারভীন জায়গার দখল বিক্রি কারী আব্বাসের।
তবে কোনো প্রকার আইন কানুন না মেনে একের পর এক পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি গড়ে ওঠায় জলবায়ু পরিবর্তনের চরম আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ উঠেছে, বন বিভাগের লোকজন অবৈধ বসতি নির্মাণকারীদের কাছ থেকে ঘরপ্রতি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বৃক্ষ নিধন ও বসতি নির্মানের সুযোগ করে দিচ্ছেন। ফলে একদিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল যেমন বৃক্ষশূণ্য হয়ে ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হচ্ছে, অপরদিকে সংরক্ষিত বনভূমিও দিন দিন অবৈধ দখলদারদের অধিনে চলে যাচ্ছে।
এদিকে, বন বিভাগের সঙ্গে দেনদরবার করে পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে দিনেশপুর বিট কর্মকর্তা জুবাইর বলেন, ‘সংরক্ষিত বন রক্ষায় আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। যেখানে বন বিভাগের জায়গা দখল ও পাহাড় কেটে ঘর তৈরি করা হচ্ছে সেখানে খবর নিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা অভিজিত বড়ুয়া বলেন, শাপলাপুর এলাকায় সংরক্ষিত বনে নির্মিত একাধিক অবৈধ বসতি ইতোপূর্বে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্তমানে ওই জায়গায় কোন অবৈধ দখলদার সংরক্ষিত বনভূমি জবর দখলে নিয়ে নতুন করে বসতি নির্মাণ করে থাকলে ওইসব বসতি উচ্ছেদ করে সংশ্লিষ্ঠদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।