পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলায় এক ব্যক্তি তৈরি করেছেন ২২ ফুট লম্বা দানব আকৃতির রকেট ঘুড়ি। উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের বাসিন্দা রসুন ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান (৩৫) ব্যাক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করেছেন এই ঘুড়ি। এই ঘুড়ি উড়াতে প্রয়োজন হয় ১৬ জন মানুষের । আর এই ঘুড়ি উড়িয়ে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, করোনা মহামারীতে অনেকেই অবস্থান করছেন বাড়িতে, সময় যেন কাটছে না। চারিদিকে বিরাজ করছে এক অস্থির পরিবেশ, আতংক ভর করেছে জীবন-জীবিকায়। যে কারণে একটু মানসিক প্রশান্তির আশায় সবাই নেমেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি ঘুড়ি উড়ানোর কাজে। শিশু-কিশোর থেকে তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ কেউই বাদ নেই এ তালিকায়। নিত্য নতুন ডিজাউনের ঘুড়ি তৈরি আর উড়ানো যেন এখন প্রতিদিনের চিত্র। কে কত রকমের, কত রঙের, কে কত বড় ঘুড়ি বানাবে তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। শুধু দিনের বেলাতেই নয়, রাতের বেলাতেও উড়ানো হচ্ছে ঘুড়ি। এজন্য বাহারী ডিজাইনের সব ঘুড়ির সাথে লাগানো হয়েছে রং বেরঙের লাইট।
প্রথম স্থানে এগিয়ে থাকার লক্ষ্য নিয়ে নতুন নতুন ডিজাইনের বিশাল আকৃতির ঘুড়ি তৈরি করছে অনেকেই। তবে ঘুড়ি তৈরি ও উড়ানোর প্রতিযোগিতায় পাবনার চাটমোহরের কাটাখালী গ্রামে নজর কেড়েছে এই রকেট ঘুড়ি।
আনিছুর রহমান জানান, ২২ ফুট রকেট ঘুড়ি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় দু’টি আস্ত বাঁশ, তিন কেজি পলিথিন কাগজ, ২শ’ গ্রাম কট সুতা। প্রতিদিন ১০ জন মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে মোট চারদিনে প্রস্তুত করেছে ঘুড়িটি। এই ঘুড়ি তৈরি করতে সর্বমোট প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ঘুড়িটি উড়ানো হচ্ছে । তিনি দাবী করেন তার তৈরি এ ঘুড়ি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঘুড়ি ।
কাটাখালী গ্রামের বাসিন্দা মামুনুর রশিদ জানান, দানব আকৃতির রকেট ঘুড়ি উড়াতে মোট ৮ কেজি দঁড়ি ব্যবহার করা হয়। ঘুড়ি উড়াতে দঁড়ি ধরতে ৭-৮ জন আর ঘুড়ি উড়িয়ে দিতে ৭-৮ জন মোট ১৬ জনের মানুষের প্রয়োজন হয়। আর এই ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বেশ আনন্দ হয় গ্রামের মানুষদের মাঝে।