নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার : কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারা গ্রামে কালারমারছড়া উত্তরনলবিলা চালিয়াতলী ভিত্তিক কিশোর গ্যাং লিড়ার ভাড়াটিয়া হায়দার আলীর নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের সশস্ত্র লোকজন অন্যার বসতবাড়ী দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানিয় আবুল বশরের পুত্র মোহাম্মদ আরমান গংদের বিরোধকৃত জমি দখল করে দিতে পাঁয়তারা চালাচ্ছে উক্ত ডাকাতদলের সদস্যরা। অভিযোগ উঠেছে আরমান গং এবং মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র আবু বক্কর গংদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের চারজন গুরুত্বর আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন, স্থানীয় আবু বক্কর তার স্ত্রী মোকারমা বেগম (২৮) ও তাঁর ভাতিজি রেশমা সুলতানা (৮)। অপর পক্ষের আহতরা হলেন,আবুল বশরের পুত্র মোহাম্মদ আরমান। তিনজনকে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আহত মহিলা ও শিশুকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে আহত নারী-শিশু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে! ২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার সময় শাপলাপুর ষাইটমারা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বসতভিটার সীমানা নিয়ে উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারা (চাইনা মার্কেট) এলাকায় আবু বক্কর গং ও আবুল বশর গংদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বসতটবিটার সীমানা বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ লাগে।
আবু বক্কর গংদের দাবি পাশ্ববর্তী কালারমারছড়া চালিয়াতলী এলাকার ইউপি সদস্য লিয়াকত আলীর পুত্র হায়দার আলী ও জেল ফেরৎ একরাম ডাকাতের নেতৃত্বে একদল যু্বক সন্ত্রাসী কায়দায় ঘটনা চলাকালে মহড়া বসিয়েছে। কিশোর গ্যাং লিড়ার হায়দার আলী আরমানের নিকটতম আত্মীয় হওয়ার সুবাদে গতকাল বুধবার ও স্বদলবলে ফের ঘটনাস্থলে গিয়ে শক্তি জানান দিতে মহড়া চালিয়েছে। এতে জীবনের নিরাপত্তারহীনতায় ভূগছে আহত আবু বক্করের পরিবার। অপরদিকে সম্প্রতি হায়দার আলীর নেতৃত্বে শাপলাপুর ষাইটামারা একটি বাড়ীতে ডাকাতির মত ঘটনা ঘটলে ও অদৃশ্য কারণে তা দামাচাপা পড়ে যায় প্রভাবশালীদের কারণে।
তবে অনেকের প্রশ্ম হায়দার আলী কে? ওই হায়দার আলী জেল ফেরৎ ডাকাত একরামের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে এলাকায় বিশাল একটি বাহিনী গঠন করতে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। যা ইতিমধ্যে সফল হয়েছেন কয়েকটি ঘটনার সূত্রপাত করে বলছে একাধিক সূত্র। হাইদার আলীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন সচেতন মহল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাই বিডি২৪ভিউজ কে বলেন, মারধরে বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।