মেহেদী হাসান আকন্দ: নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী হাওরে ধান চাষের পাশাপাশি বাদাম চাষের দিকে কৃষকরা দিন দিন ঝুঁকে পড়ছে। বাদাম চাষের অনুকুল আবহাওয়া থাকায় চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। স্বল্প খরচে অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক এই তৈলজাত ফসল চাষে মনোযোগী হয়েছেন হাওরপাড়ের কৃষকরা। জগনাথপুর গ্রামের বাদাম চাষী আফসার আলী বিডি২৪ভিউজ কে জানান, স্থানীয় উন্নতজাতের বাদাম এবং বারী ৬ জাতের বাদামের ফলন অনেক বেশি এবং রোগ বালাইয়ের প্রকোপ তুলনামুলকভাবে কম।
চলতি রবি মৌসুমে তিনি বারী ৬ জাতের বাদাম এবং স্থানীয় উন্নত জাতের চীনা বাদাম চাষ করেছেন। উন্নত প্রযুক্তি এবং উপজেলা কৃষি বিভাগের নিয়মিত পরামর্শের কারণে মাঠে ফসলের অবস্থা খুবই ভালো এবং বাম্পার ফলন তিনি প্রত্যাশা করছেন। ইতিমধ্যে দেশী জাতের বাদাম তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। আশানুরুপ ফলন হয়েছে বলে জানান, কৃষাণি ইয়াসমিন।
খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান বিডি২৪ভিউজ কে জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে এই করোনাকালীন সময়ে দেশকে খাদ্যে সয়ং সম্পূর্ণ রাখতে নিত্যনতুন সব প্রযুক্তি নিয়ে হাওরাঞ্চলে চাষাবাদ ব্যবস্থার উন্নয়নে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে খালিয়াজুরী উপজেলা এবার বাদাম চাষে প্রায় শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে। চলতি রবি মৌসুমে খালিয়াজুরীর হাওরাঞ্চলে ২৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে এবং কাঙ্খিত উৎপাদনে সক্ষম বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিগত বছরে বাদামের ভালো ফলন ও আশানুরুপ দাম পাওয়ায় এলাকার চাষীরা অন্যান্য ফসলের পাশপাশি বাদাম চাষের দিকে মনোযোগী হচ্ছে। ফলন ও ভালো দাম পেলে চাষীদের আগ্রহ আরোও বৃদ্ধি পাবে এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ভরা মৌসুমে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দিলে অন্যান্য ফসলের যেমন ক্ষতি হয় বাদামের তেমন একটা ক্ষতি হয়না। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় আড়াই টন বাদাম উৎপাদন হয়। খালিয়াজুরীর হাওরাঞ্চলের মিষ্টি কুমড়া, আলু, পিঁয়াজ, রসুন, সূর্যমুখি, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন জাতের সবজির চাষের পাশাপাশি বাদাম চাষের উজ্জল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।