রফিকুল ইসলাম সুইট : কাজ সমাপ্ত হওয়ার কয়েক বৎসর পরেও হস্তান্তর হয় নাই পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন। ভবন হস্তান্তর না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও ভবনের বিভিন্ন অংশ। বিপাকে ঠিকাদার, ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাগণ।
পাবনা গণপুর্ত বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার জানান, পাবনা সদর উপজেলা হেমায়েত পুরে ১৯১৫-১৬ অর্থ বৎসরে ৮ শতাংশ জায়গার উপর ২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৩ তলা বিশিষ্ট পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন আমরা সিডিউল মোতাবেক কাজ সম্পন্ন করেছি। কাজ বুঝে না নেয়ায় বিল্ডিং এর রং, ফিটিং সহ কিছু অংশ নষ্ট হচ্ছে।
কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর কয়েকবার চিঠি দেয়া হয়েছে বিল্ডিংটি বুঝে নেয়ার জন্য কিন্তুু এ পর্যন্ত বুঝে নেয়া হয়নি। হস্তান্তর না হওয়ায় জন্য আমরা সমস্যায় আছি। এক দিকে ঠিকাদার বুঝে নেয়ার জন্য আমাদেরকে অনুরোধ করছে অন্যদিকে আমরা বুঝে নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি জেলা প্রশাসন কে । ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঐশি কনষ্ট্রাকশন এর মালিক শরীফ উদ্দিন প্রধান জানান- পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর কাজ সিডিউল মোতাবেক সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও এই ভবনটি কতৃপক্ষ বুঝে নেয় নাই। বুঝে না নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। পাহারাদার রাখা হয়েছে। কিছু কিছু জিনিস নষ্ট হতে পারে। আমি আশাকরি দ্রুত কতৃপক্ষ ভবনটি বুঝে নিবে।
সেক্টর কমার্ন্ডাস ফোরাম পাবনা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আসম আব্দুর রহিম পাকন বলেন- জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সরকারের একটি মহতি উদ্যোগ। এই কমপ্লেক্সের আয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার কথা ভেবে সরকার এটি করেছে। পাবনার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন টি যথাস্থানে না হওয়ায় এর উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় ভবনটি হওয়ায় এখান থেকে আয় না হওয়ায় সম্ভাবনা বেশী যার ফলে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা জেলা ইউনিট কমান্ড এর সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন- জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সম্পন্ন হয়ে আছে আমরা ৫ জন এই কমিটির সদস্য অল্প সময়ের মধ্যে ভবনটি হস্তান্তরের কাজ সম্পন্ন হবে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।
হস্তান্তর কমিটির সদস্য ও জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা রাশেদুর কবির জানান. বুঝে নেয়ার জন্য চিঠি পেয়েছি। বুঝে নেয়ার আগে কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা দেখা হবে। তবে অচিরেই ভবনটি বুঝে নেয়া হবে। পাবনা জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা জেলা ইউনিট কমান্ড এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবীর মাহমুদ জানান- করোনা এবং বেশ কিছু কাজের চাপ থাকায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হস্তান্তর সম্ভব হয়নি। অচিরেই একটি মিটিং করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স বুঝে নেয়া হবে।