মেহেদী হাসান আকন্দ: নেত্রকোণা সরকারি শিশু পরিবারে সাবেক ও বর্তমান নিবাসীদের মধ্যে মেধাভিত্তিক নগদ অর্থ ও সাইকেল বিতরণী করেন। বুধবার বেলা ১২টায় নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কুমড়ি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত সরকারি শিশু পরিবারের হলরুমে জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে নগদ অর্থ ও সাইকেল বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোণা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: আলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজুর রহমান খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, রৌহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, সাবেক সভাপতি মোখলেসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্না।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সরকারি শিশু পরিবার (বালক) নেত্রকোণার উপতত্ত্বধায়ক তারেক হোসেন। প্রধান অতিথি শিশু পরিবারের নিবাসীদের সুনাগরিক হিসাবে গড়ে উঠতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও তিনি শিশু পরিবারকে যে কোনো প্রয়োজনে সর্বদা সার্বিক সহযোগিতার দৃঢ় আশ্বাস দেন। প্রধান অতিথির নিকট থেকে শিশু পরিবারের সাবেক নিবাসী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে অধ্যয়নরত মো: ওমর ফারুক জেমস্, নেত্রকোণা সরকারি কলেজের বোটানী বিভাগে অধ্যয়নরত বায়েজিত ও ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মিনহাজ খান রাফাত প্রত্যেকেই ৩০হাজার টাকা করে গ্রহণ করে। ময়মনসিংহ পলিটেকনিকে অধ্যয়নরত ইলিয়াছ কবীর ও কবীর আহম্মেদ এবং নেত্রকোণা পলিটেকনিকে অধ্যয়নরত আফজাল হোসেন প্রত্যেকেই ১২হাজার টাকা করে গ্রহণ করে। এছাড়াও ৪জন বর্তমান নিবাসীদের মধ্যে সাইকেল বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে নেত্রকোণা জেলায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় দরিদ্র এতিম শিশুদের লালন পালনের একমাত্র প্রতিষ্ঠান সরকারি শিশু পরিবার (বালক) নেত্রকোণা। দেশব্যাপী পরিচালিত ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবারের মধ্যে এটি একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৩ সালে জেলা শহরের নিজামপুর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০১ সালে ৫মে সরকারি শিশু পরিবারে রুপান্তরিত হয়ে সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কুমড়ী এলাকায় স্থাপিত হয়। ৩একর জায়গায় মনোরম পরিবেশের এই প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ১০০জন এতিম শিশু লালিত পালিত হচ্ছে।