পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ মালিক সমিতির নামে অবৈধ চাঁদা আদায় বন্ধের দাবীতে বুধবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাবনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সহসভাপতি মো. কাওছার রহমান রিন্টু। সমিতির সদস্য হাজী শরীফুল ইসলাম শরীফ, মো. হামিদুল ইসলাম দুলাল ও মো. হামিদুল ইসলাম এ সময় বক্তব্য দেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন, সমিতির সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক কালাম আহমেদের ইচ্ছায় বিগত ১২ বছর পাবনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি পরিচালিত হয়েছে। এই ১২ বছরের কোন হিসাব নেই। এই এক যুগে যত টাকা আদায় হয়েছে তা কালাম আহমেদের পকেটে গেছে। দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থার বিষয়টি তদন্ত করা উচিৎ। আমরা সমিতির সদস্য হিসেবে যখন হিসাব চেয়েছি তখন আমাদের বাসের ট্রিপ বাতিলসহ নানা ধরণের নির্যাতন করা হয়েছে। ঐ সব ব্যক্তিরা বাস মিনিবাস ও কোচ সমিতিকে পকেট সংগঠন করতে শ্রমিক নেতাকে কামিল হোসেনকে মালিক সমিতির আহবায়ক করে একটি অবৈধ কমিটি ঘোষণা করেছে। যা সম্পুর্ন অবৈধ ও শ্রম আইন পরিপন্থি। তারা আরও বলেন, কামিল হোসেন পাবনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম আহবায়ক। একজন কার্ডধারী শ্রমিক কি ভাবে মালিক সমিতির আহবায়ক হন তা বোধগম্য নয় ও হাস্যকর। তা ছাড়া শ্রম আইনে আহবায়কের কোন পদই নেই।
বক্তারা বলেন, পাবনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির ৬৫ জন সদস্য রয়েছে। এই সব সদস্যদের কাছ থেকে প্রতি গাড়ীতে ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা করে কামিল হোসেনের নামে রশিদ দিয়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৮/১০ হাজার টাকা আদায় হচ্ছে। যার সব টাকাই কামিল হোসেনের পকেটস্থ হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, চেম্বার অব কমার্সকে অবহিত করা হলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই সাংবাদিক সম্মেলন করা হচ্ছে। তারা আরও বলেন, অবিলম্বে পাবনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির অবৈধ আহবায়কের পদ বাতিল এবং চাঁদা আদায় বন্ধ ও চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর কর্মসুচি প্রদান করা হবে বলে জানান।