আল এনায়েত করিম রনি, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সাত বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ পিতা চানমিয়া কবিরাজ (৪৯)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ভোরে এ ঘটনার পর মামলা হলে শুক্রবার (২৮ মে) সকালে পুলিশ চানমিয়া কবিরাজকে কুড়িগ্রাম আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পরশুরামকুটি গ্রামের শাহীবাজার এলাকার মৃত: মোহাম্মদ শেখ’র পূত্র চানমিয়া কবিরাজ’র দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের পক্ষের ৭বছরের এক শিশু কন্যাসহ তারা একসাথে থাকতেন। পরিবারটি পার্শ্ববর্তী মিলনিবাজারে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। শিশু কন্যার মা সোনাহাট স্থলবন্দরে পাথরভাঙ্গা শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। ভাড়া বাসায় চানমিয়া কবিরাজ তার স্ত্রী ও সৎ কন্যা সন্তানসহ এক বিছানায় রাত্রি যাপন করতেন।
অন্যান্য দিনের মত বৃহস্পতিবার ভোরে চানমিয়ার স্ত্রী রান্নাঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এসময় চানমিয়া শিশুকন্যাটিকে জোড়পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বেশ কিছুদিন ধরেই তার সৎপিতা সুযোগ পেলেই শিশুটির উপর নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ উঠেছে। সকালে সৎ পিতা বাইরে চলে গেলে অনৈতিক কাজের বিষয়টি মাকে খুলে বলে মেয়েটি। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বামী চানমিয়া কবিরাজকে আসামী করে কচাকাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে ওই গৃহবধূ। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে রাতেই অভিযুক্ত চানমিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
এ ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: এ,এস,এম সায়েম জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতারে প্রেরণের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, গ্রেফতারকৃত চানমিয়াকে শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। যেহেতু ধর্ষণ চেষ্টা এজন্য ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। শিশুটিকে মায়ের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আগমি রবিবার (৩০ মে) ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য ভিকটিমকে আদালতে পাঠানো হবে।