রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম (এনআরপি)-এর আওতায় পৌরসভা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকাল ১০টায় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি পৌরসভার আয়োজনে এ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার উদ্বোধন করেন এবং সভার পেশকৃত সুপারিশসমূহ লিপিবদ্ধ করেন কমিটির সদস্য সচিব সুমন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবদুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার প্যানেল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রামের টেকনিক্যাল এসিষ্ট্যান্ট আশরাফুল আলম, কাউন্সিলরবৃন্দ রাঙ্গামাটি পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ সুবর্ণ চাকমা, রাঙ্গামাটি ফায়ার স্টেশন অফিসার মোঃ বিল্লাল হোসেন এবং প্রশাসনের উর্ধবতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রধানগণ প্রমূখ।
সাধারণ সভায় সম্ভাব্য পাহাড়ধস ও ভূমিকম্পের প্রস্তুতি, দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা, পাহাড় কাটা, মাটি কাটা, বসতি স্থাপন ও বিভিন্ন কর্মসূচী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আলোচনায় সভায় বক্তারা বলেন, ধীরে ধীরে শহরের রিজার্ভ বাজার এবং ভেদভেদী এলাকায় ব্যাপক বসতি স্থাপন হচ্ছে। পাহাড় ধ্বসের কারণ হিসেবে প্রধানত নির্বিচারে পাহাড় কাটাকে দায়ী করেন তারা। ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমের পাশাপাশি কিছু শেল্টার নির্মাণ করতে হবে। রাঙ্গামাটি পৌরসভার দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর জন্য একটি নিরুপণ কার্যক্রম করতে হবে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের ধরে রাখার জন্য তাদের একটি সাংগঠনিক কাঠামোর রুপ দেওয়া যায় কিনা সেটা ভাবতে হবে। করোনা মোকাবেলার জন্য সামনের শীতের সময়ে যাতে লোকজনকে আরো বেশি সচেতন করা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। রাঙ্গাামটির বর্তমান মাটির অবস্থা নিয়ে বিস্তব গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তারা।
আলোচনার সভায় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, পিডিএমসির সদস্যগণ এসওডির আলোকে দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় পরবর্তীতে যাবতীয় কর্মসূচী গ্রহণ করবেন। খুব দ্রুত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে একটি মিটিং আয়োজনের জন্য কমিটির সদস্যগণ একমত হন। নির্বিচারে পাহাড় কাটা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ধাপে ধাপে কমিটির সদস্যগণ পদক্ষেপ নেবেন। পিডিএমসির সদস্যগণ কিছু স্থায়ী শেল্টার নির্মাণের জন্য একমত পোষণ করেন। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার একটি তালিকা তৈরি করতে উপস্থিত কমিটির সকল সদস্য একমত পোষণ করেন। পিডিএমসির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম করা হবে বলে জানান তারা।