পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহর ও ঈশ্বরদীতে পৃথক ঘটনায় শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে দুই উপজেলায় পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে চাটমোহরে জয়া খানম (৪) নামের শিশু পানিতে ডুবে মারা যায় আর ঈশ্বরদীতে নাজমুল হাসান (২৩) নামের যুবক গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
জয়া চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের আনকুটিয়া (উত্তরপাড়া) গ্রামের মতিন হোসেনের মেয়ে। নাজমুল হাসান ঈশ্বরদীর শেখেরচর এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে। পেশায় সে একজন নির্মাণ শ্রমিক।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাড়িতে মেয়ের নানা-নানীসহ বেশ কিছু আত্মীয় স্বজন আসে। তার মা রান্না করে সবাই কে খাওয়া দাওয়া করায়। মেয়ে সেমাই খাওয়ার কথা বললে তার মা মেয়ে জয়াকে সেমাই খেতে দিয়ে নিজের বাড়ির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। পরে মেয়ে একা একা খেলা করতে করতে বাড়ির পাশে পুকুরের ধারে গিয়ে পাঁ পিছলে পুকুরে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে মেয়ের মা মেয়ের দাদী কে জিজ্ঞাসা করে ছোট মেয়ে কোথায় গেলো। মেয়ের দাদী তার মা সাথে সাথে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখে মেয়ে পানিতে ভেসে আছে। তৎক্ষনাৎ মা পানিতে ঝাঁপ দিয়ে পানি থেকে তুলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
অপর দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে হতাশা কাজ করায় নাজমুল নামের যুবকটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। এলাকাবাসী জানায়, সংসার জীবনে স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় ২ মাস আগে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এর পর থেকে সে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। তারই এক পর্যায়ে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ও ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাদের উভয়ের মরদেহ উদ্ধার করে লাশ সুরতহাল শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।