নিজস্ব প্রতিনিধি : র্যাব-১২’র পৃথক অভিযানে সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় ২০ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার ও ০১ টি ট্রাক জব্দ। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
১। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭/০৬/২০২১ তারিখ দিবাগত রাত ১১.০৫ ঘটিকায় র্যাব-১২ এর এ্যাডজুটেন্ট ও অপ্স অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে স্পেশাল কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল, সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামস্থ সিরাজগঞ্জ টু বগুড়া মহাসড়কের পার্শ্বে ‘ মা-বাবার দোয়া’খাবার হোটেলের সামনে পাকা রাস্তার উপর এক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১০ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এসময় তার নিকট হতে গাঁজা বিক্রয়ের নগদ ১৬,১৫০/-(ষোল হাজার একশত পঞ্চাশ) টাকা, ০১ টি পিকআপ, ০১ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীঃ ১। মোঃ আইনুল ইসলাম@আয়েন(৪৫), পিতা-মোঃ হোসেন আলী, সাং-বীরভদ্র (বালাটারী), থানা-মাহিগঞ্জ আরপিএমপি, জেলা-রংপুর ২। মোঃ হেলাল উদ্দিন (৪৮), পিতা-মৃত মোসলেম প্রামাণিক, সাং-দক্ষিণ রাঘবপুর, থানা-পাবনা সদর, জেলা-পাবনা। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়দের এর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারণীর ১৯(খ) ধারার উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাহাদেরকে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
২। ১৮/০৬/ ২০২১ তারিখ রাত ৩.১৫ ঘটিকায় র্যাব-১২ এর এ্যাডজুটেন্ট ও অপ্স অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে স্পেশাল কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল, বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন নয়াপাড়া পুকুরপাড় গ্রামস্থ ধৃত আসামীর বসত বাড়ীর পাশের্^ পাঁকা রাস্তার উপর এক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৯.৮৫০ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীঃ ১। মোঃ আবুল কালাম আজাদ(৩৪), পিতা- মোঃ হায়দার আলী, সাং- নয়াপাড়া পুকুরপাড়, থানা-শেরপুর, জেলা-বগুড়া,।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী এর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারণীর ১৯(খ) ধারার উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাকে বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।