সোম মল্লিক যশোর প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন বিলে অপরিকল্পিতভাবে তৈরী হচ্ছে মৎস্য ঘের। কোন ধরণের পরিকল্পনা কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার নিয়ম-নীতি না থাকায় যার যেখানে জমি রয়েছে ইচ্ছা মাফিক তৈরী করছে এই মৎস্য ঘের। যে কারণে স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশংকা করছে এলাকাবাসি। এলাকাবাসি জানায়, ভবদহের স্থায়ী কোন সমাধান না হওয়ায় এমনিতে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়ে রয়েছে।
কিছু কিছু বিলের পানি শুস্ক মৌসুমে নিচে নেমে গেলেও জলাবদ্ধ এলাকার অধিকাংশ বিলের জমি অনাবাদি রয়ে গেছে। ফলে জমি মালিকেরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ফসসি জমিতে ফসল ফলানোর আশা বাদ দিয়ে এখন বিকল্প হিসেবে তৈরী করছে মৎস্য ঘের। একদিকে দেশে কমছে ফসলি জমি অন্যদিকে তৈরী হচ্ছে জলাবদ্ধতার আরেক রূপ।
বৃষ্টি মৌসুমে আবাসিক এলাকার পানি গড়িয়ে নিচু এলাকা অর্থাৎ বিলে গিয়ে পড়ে। কিন্তু বিলে পানি যাওয়ার পথে নতুন অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের তৈরীর হিড়িক। পানি যাওয়ার কোন জায়গা না রেখে যার জমি যেখানে আছে কেউ একটুও ছাড় দিতে রাজি হচ্ছেনা।
একজনের ঘেরের পাড়ে আরেকজন পাড় লাগিয়ে মৎস্য ঘের তৈরী করছে। ফলে পানি যাওয়ার গতিপথ বন্ধ হচ্ছে। আসছে বর্ষা মৌসুমে পানির চাপ বেড়ে গেলে আবাসিক এলাকায় পানি জমে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। আবার কোথায় কোথায় পানি প্রবাহের সরু জায়গা রাখা হলেও পানির গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়া হচ্ছে।
এতে পানি সঠিকভাবে প্রবাহ হবে কি/না সে ব্যাপারে কারো মাথা ব্যাথা নেই। আবার অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে পাকা কিংবা কাঁচা সড়ককে মৎস্য ঘেরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে অল্পদিনে ওই সড়কের বেহাল দশা তৈরী হচ্ছে। কোথাও কোথাও ঘেরের মধ্যে বিলিন হচ্ছে রাস্তা। এনিয়ে কখনও কখনও বাগ বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা।
গত কয়েকদিন আগে ধোপাদী গ্রামের ধোপাপাড়া এলাকার একটি রাস্তা গিলে খাচ্ছে মৎস্য ঘের এমন অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা হলেও কার্যকরী কোন ভূমিকা দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। ফলে এলাকাবাসির দাবি, মৎস্যঘের তৈরী করতে হলে সড়ক থেকে নিরাপদ দুরত্ব ও উপরের পানি নিচে নামার জন্য জায়গা রেখে মৎস্য ঘের তৈরী করতে হবে। আর এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকার মাধ্যমে এবং সকল মৎস্য ঘের কর্তৃপক্ষের তালিকায় রেখে তাদেরকে নিয়ম কানুন জানিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে এসংকট দূর করতে হবে।