সোম মল্লিক, যশোর প্রতিনিধি : যশোরের নওয়াপাড়া পৌরসভা সৌন্দর্যমন্ডিতভাবে সাজানো হয়েছে এই পৌরসভার সকল স্থাপনা এবং ফুটপাত। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের অবাধ ও নিরাপদ ফুটপাত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারিনি। নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪,৫,৬ এবং ৭নং ওয়ার্ডের বাইপাস সড়কের বেঙ্গলগেট থেকে শুরু করে তালতলা পর্যন্ত সড়কের একপাশে প্রায় সাত ফুট প্রশস্ত ফুটপাত অবৈধ দখলে। এমনকী ফুটপাত ছেড়ে অনেকে প্রধান সড়কে দোকানপাট বসিয়েছে। ফুটপাত দিয়ে পথচারীরা হাঁটতে পারছেন না।
রাস্তা দিয়েও চলাফেরা কঠিন। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। প্রফেসরপাড়া সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে প্রতিদিন বসছে কাঁচাবাজারসহ নানা রকম দোকান। ফুটপাতের সামান্য অংশও খালি নেই। তাছাড়া নওয়াপাড়া নূরবাগ, স্বাধীনতা চত্ত্বর, প্রফেসারপাড়া মোড়ে অবৈধ দখলের কারণে মাঝে মাঝে জ্যাম লেগেই থাকে। যেন পুরো বাজার নেমে এসেছে ফুটপাতে আর রাস্তায়।
নওয়াপাড়া স্বাধীনতা চত্ত্বরের বাসিন্দা মোঃ রুবেল হোসেন বলেন, সড়ক ও জনপথের এই জায়গায় মোটর সাইকেল ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক স্ট্যান্ড থাকায় সারাক্ষণ ফুটপাতে গাড়ি পার্ক করা থাকে। তাছাড়া রাস্তার ওপর থাকে ভ্যান ও বাইসাইকেল। এসকল অবৈধ যানবাহনের কারণে রাস্তা সংকুচিত হওয়ায় এ পথে চলাচল করা কষ্টকর। এ নিয়ে পথচারী ও চালকদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে হাঁটতে যাওয়া পথচারিদের প্রায়ই দুঘর্টনার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
প্রতিদিন সকালে হাঁটতে যাওয়া বিনয় কৃষ্ণ পাল বলেন,ফুটপাতের ওপর অবৈধ দোকান হওয়ার কারণে আমাদের রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। এর ফলে প্রায়ই আমাদের দুঘর্টনার শিকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া করোনা মহামারির এই সময়ে এমনিতেই সরকারি নির্দেশ আছে দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা। কিন্তু এই সংকুচিত ফুটপাতে মানুষ অনিচ্ছা সত্ত্বেও একে অন্যের গায়ে গা ঘেঁষে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
তাই আমরা চাই অতি সত্ত্বর ফুটপাত দখলমুক্ত করা হোক। নওয়াপাড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ভিলেজ ডাক্তার নীহার কুমার বসু বলেন, নওয়াপাড়া পৌরসভা এতো টাকা খরচ করে ফুটপাতে টাইলস দেছে অথচ এর সুফল জনগণ ভোগ করতে পারছে না। অবিলম্বে এই ফুটপাত দখলমুক্ত করে তা জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হোক। তাছাড়া নওয়াপাড়া পৌরসভাকে সৌন্দর্যবর্ধক করতে ফাঁকা স্থানে গাছের চারা রোপণ করা হোক।
নওয়াপাড়া মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মহিদুল ইসলাম বলেন, নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রফেসরপাড়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফুটপাতের ওপর নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয় প্রায় সারা বছরই। এতে করে জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধায় পড়তে হয়। এর থেকে মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে মাইকিং করে দোকানদারদের ফুটপাত ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। দুই-ছয় মাস পর পরই অবৈধ দোকান উচ্ছেদও করি। কিন্তু তারা আবার ফিরে আসে। এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে করোনার মহাদুর্যোগে আমরা কিছুটা ছাড় দিচ্ছি। তবে ভবিষ্যতে ফুটপাতকে দখলমুক্ত করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।