সোম মল্লিক, যশোর প্রতিনিধি : কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, নির্মাণ কাজে ধীরগতি ও মুষলধারে বৃষ্টির ফলে যশোর টু চুকনগর ভায়া কেশবপুর হাইওয়ে সড়কটির বেহাল দশার ফলে চলাচলে সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রাস্তার দিকে তাকালে বুঝাই যাচ্ছেনা এটি হাইওয়ে সড়ক। বর্তমান রাস্তার বেহাল দশা দেখে মনে হচ্ছে এটি যেন ধান রোপনের ক্ষেত।
বিশেষ করে জনগুরুত্বপূর্ণ কেশবপুর সরকারি কলেজ গেট থেকে ট্রাক টার্মিনাল পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা একেবারে জরাজীর্ণ অবস্থা। শহর এলাকার মধ্য দিয়ে এই রাস্তাটি অতিক্রম করায় এখানে জনসাধারণের ভীড় সব সময় লেগে থাকে। তাছাড়া রাস্তার দু’পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরী ড্রেনটির সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় সড়কের দু’ধারে ফেলা বিভিন্ন ময়লা আবর্জনার স্তুুপ হতে প্রচন্ড দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে।
এমনকি ময়লা-আবর্জনায় ভরা স্তুপের ড্রেনটিতে বৃষ্টির পানি জমাট বেঁধে বিভিন্ন প্রকার মশা জন্ম নিচ্ছে যা অচিরে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়তান্ত্রিক ভাবে পুরো রাস্তা একসাথে খুঁড়ে ধীরগতিতে চলছে এই হাইওয়ে সড়কের কাজ। নীতিমালা অনুসারে সড়কের কাজ না করায় এমনিতে পথ চলাচলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে ছিল। কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন যদি জনস্বার্থে নজরদারী করেন তবে রাস্তাটি মানুষের চলার উপযোগী হবে।
এদিকে মেইন সড়ক সংলগ্ন কেশবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ অবস্থিত হওয়ায় এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে আসা মুসল্লীরা জরাজীর্ণ এই রাস্তার কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা অনেক মুসাল্লি বলেন, আমরা অনেকেই শহরে ব্যবসা করি। আযান দিলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসি। কিন্তু রাস্তার এমন দুরাবস্থার কারণে আমাদের মসজিদে আসাটা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।