আল এনায়েত করিম রনি, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : লকডাউন চলাকালিন সময়ে কুড়িগ্রামের উলিপুর বাজারে বিচ্ছিন্নভাবে দোকানপাট খোলা রাখায় ভ্রাম্যমান আদালত ব্যবসায়ীদের জরিমানা করায় ব্যবসায়ীদের একাংশ উলিপুর-কুড়িগ্রাম সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার গবামোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরে বিকালে পৌর শহরে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম রাসেল জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় কাপড় পট্টিতে মোবাইলের দোকান খোলা রাখায় জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অকারনে বাজারে ঘোরাঘুরি করায় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রশাসন লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, উলিপুর কাপড় পট্টিতে অবস্থিত হাজী মার্কেটে কিছু দোকান খোলা রাখায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উলিপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম রাসেল সেখানে ২টি মোবাইলের দোকানে জরিমানা করে তা বন্ধ করে দেন। এরপর সেখানে অকারনে উপস্থিত কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী ও পথচারীকে সতর্ক করে তিনি চলে যান। এরপর ওই মার্কেটের কিছু ব্যবসায়ীরাসহ আশপাশের ব্যবসায়ীদের একাংশ দোকান খোলা রাখার দাবীতে উলিপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের গবা মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে বিকালে পৌর শহরে প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়।
উলিপুর বস্ত্র মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম জানান, আজকের বিক্ষোভ নিয়ে আমরা কিছুই জানি না। এ ব্যাপারে কেউ আমাদের সাথে কোন কথা বলেনি। আমরা সরকারের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছি। এ ব্যাপারে উলিপুর বণিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা জানান, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। উলিপুর বণিক সমিতির সকল ব্যবসায়ীরা এর সাথে সম্পৃক্ত নয়। আমরা সরকারের লকডাউন বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা চাইছি।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-এ-জান্নাত রুমি জানান, লকডাউনে দোকান খোলা রাখায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনার পর ব্যবসায়ীদের একাংশ প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। ঘটনাটি পৌর মেয়র এবং বণিক সমিতির লোকজনকে জানানো হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে পরিস্থিতি শুনে সেনাবাহিনীর টিম ম্যাজিস্ট্রেটসহ টহল জোরদার করেছে।