সোম মল্লিক যশোর প্রতিনিধি : ঘরের সিলিংফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুল ছিল নারীর দেহ। তার স্বামী প্রতিবেশীদের ডেকে এনে তাদের সামনে ওড়না খুলে মরদেহটি নিচে নামিয়ে ফেলেন। এরপর প্রতিবেশীদের সহায়তায় মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে মরদেহ রাখার পর পরই সেখান থেকে সটকে পড়েন তিনি। তিনি হচ্ছেন অভয়নগর উপজেলার কাদিরপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান শেখের ছেলে সুজন শেখ। গত রবিবার গভীর রাতে উপজেলার বুইকরা গ্রামের হাসপাতাল
ওই নারীর নাম তমা বেগম (২৩)। তিনি উপজেলার কোটা গ্রামের জলিল শেখের মেয়ে। জলিল শেখের অভিযোগ, মেয়ের জামাই সুজন শেখ তার মেয়েকে হত্যা করার পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক করছে।
তিনি আরও জানান, ২০২০ সালে সুজন শেখের সঙ্গে তমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাকে নির্যাতন শুরু করে সুজন। গত তিন মাস ধরে তমাকে নিয়ে সুজন উপজেলার বুইকরা গ্রামের হাসপাতাল রোডে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করত। তমা ছিল ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে হত্যা করে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সুজন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এর পর সে প্রতিবেশীদের ডেকে তদের সামনে লাশ নিচে নামিয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়।
সুজনের পাশের ফ্ল্যাটে বাস করেন মো. মারুফুজ্জামান রুবেল। তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন তমাকে তার স্বামী সুজন মারধর করত। রবিবার রাত ১২টার দিকে সুজন আমাদের ডেকে বলে তমা গলায় দড়ি দিয়েছে। আমরা তার বাসায় গিয়ে তমাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখি। তাকে নামিয়ে দ্রুত আমরা হাসপাতালে যাই। সুজনও আমাদের সঙ্গে যায়। এর পর হাসপাতাল থেকে সে সটকে পড়ে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামিম হাসান বলেন, ‘জেনেছি মেয়েটিকে তার স্বামী সুজন শেখ নির্যাতন করত। মেয়ের বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় সুজন শেখের বিরুদ্ধে গতকাল ভোরে মামলা করেছেন। লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।