সত্যেন্দ্র নাথ রায় নীলফামারী প্রতিনিধি : ঘুরতে গিয়ে চোখেপড়ে পঞ্চগড় জেলার সোনাপোতা ইউনিয়নের দীজেন রায় এর ছেলে কৃষক মাধব রায় ১৭ শতাংশ জমিনে কাউন চাষ করছেন। কথাহলে জানান জমিনে এক দুইটা করে কাউন গাছ দেখা পাইতাম এবং সংগ্রহ করে করে ৪৫০ গ্রাম হয়। জমিনে চাষাবাদের জন্য এবার ফেলি,চাষাবাদ তেমন খরচ নেই,৩৩ শতাংশে খরচ দুই হতে তিন হাজার টাকা। বর্তমানে এ আবাদটি বিলুপ্তির দারপ্রান্তে। ১৯৭৫ হতে ১৯৯৫ সময় কালে প্রচুর পরিমানে কৃষক চাষাবাদ করত,সময়ের বিবর্তনে প্রযুক্তির ব্যবহারে যে চাষাবাদে লাভ বেশী তার দিকে ঝুঁকে পরছে কৃষক, আর এইকাজটি উদ্ভুদ্ধ করনে ব্যাপকভাবে অগ্রনী ভুমিকা রেখে যাচ্ছে উপজেলা উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন। নব্বই দশকের সময়কালে মানুষ কাউনের ভাত, পায়েশ, খির,মোয়া বানিয়ে খেত,যার স্বাদ একনও মুখে লেগে আছে তা এখন শুধুই মুখ রোচক গল্প। কাউনের চাল এখন বড় লোকেরা ১০০ শত টাকা কেজি দরে বর্তমানে ক্রয়করে খির মোয়া বানিয়ে খায় ।
আম এখন আর খেতে পারিনা। অনেক শস্যই এখন বিলিন হয়ে পড়েছে ডোমার উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) আনিসুজ্জামান সাথে কথাহলে জানান প্রযুক্তির ব্যাবহার, কাউনের ফলন কম, পতিত জমিগুলোতে কাউন চাষহতো এখন সে জমিগুলো সেচ এর আওতায় এসেছে সেগুলোতে বাদাম চাষ,সবজি চাষ বেরে গেছে। শস্যটি দামে এবং ফলনে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারার কারনে এ অবস্থা। কৃষক অল্প সময়ে কম খরজে চাষাবাদ করে অধিক লাভ চান। কৃষকের আগ্রহ কমে গেছে এইসব কারনে, যারদরুন শস্যটির চাষাবাদ বিলুপ্তির দারপ্রান্তে।