পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি। খুলনার পাইকগাছার কেওড়াতলা এলাকা প্লাবিত করে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। একদিকে নদীতে পানি বৃদ্ধি, অপরদিকে প্রবল বৃষ্টি এরই মধ্যে পরিকল্পিতভাবে গেট দিয়ে পানি উঠায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘর-বাড়ী, মন্দির, মৎস্য ঘের। জানা যায় উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের কেওড়া তলা মৌজায় হাজার বিঘার অধিক চিংড়ি ঘের রয়েছে। বসবাস করে শতশত মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড বৃষ্টি ও নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। এ সময় স্থানীয় গেটের খাল ইজারাদার ও কয়েকজন ঘের মালিক পরিকল্পিতভাবে পানি উটাতে গেটের ঢাকনা তুলে জোয়ার দেয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জোয়ারের পানিতে কেওড়াতলার নি¤œ অঞ্চল তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় ছোট বড় চিংড়ি ঘের, বসত বাড়ী, মন্দির ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাকা রাস্তার উপর প্রায় হাটু পানি। এলাকার মানুষের যাতায়াতের ব্যাপক অসুবিধা হয়। এ ব্যাপারে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় রনজিত মন্ডল, গণেশ মন্ডল, গোলক মন্ডল, তাপস মন্ডল, সঞ্জয় মন্ডল জানান, জোয়ারের পানিতে তাদের ইটের রাস্তাটির উপর হাটু পানি ও বাড়ীর উঠান তলিয়ে যায়। মন্দির প্রাঙ্গণ ও স্কুলের মাঠও ডুবানো থাকে। এব্যাপারে তারা অভিযোগ করেন, অন্যের ঘেরের মাছ উঠিয়ে নেয়ার জন্য জোয়ার দিয়ে এ কৃতিম দুর্যোগ সৃষ্টি করেছে।
গেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফকির গাজী জানান, ইকবাল কাগজী, আব্দুল আজিজ মোল্লা, খোকন কাগজী, তনু কগজী, লাভলুরা জোর করে গেটের পাট তুলে জোয়ার দেয়। ইকবাল কাগজী জানায়, গোণের সময় মাছ ধরার জন্য জোয়ারের প্রয়োজন হয় একারণে জোয়ার দিয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন জানান, আমি খুলনাতে চিকিৎসাধীন আছি। এলাকাবাসী মোবাইলে কেওড়তলা এলাকা প্লাবিত হওয়ার কথা জানালে আমি তাদেরকে লিখিত অভিযোগ করার কথা বলেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।