মোঃ সুজন বিশ্বাস, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : অবৈধ দখলদারদের হাতে বেদখল হয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়া গড়াই নদীর চর ও তীরবর্তী অঞ্চল গুলো। কিছু অসাধু চক্র ক্ষমতার বড়াই দেখিয়ে একের পর এক দখল করে নিচ্ছে গড়াই নদীর পাড়। কুষ্টিয়া থানাপাড়া থেকে ঘোড়ার ঘাট পর্যন্ত ক্ষমতা দেখিয়ে নদী তীরে দোকান পাঠ, খামার এমনকি ঘর বাড়ী ও নির্মাণ করেছেন ঐসকল ভূমিদস্যুরা। এতে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে কুষ্টিয়া গড়াই নদীর তীর।
গড়াই নদীর তীরে রক্ষাকল্পে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে দখল রোধে করণীয় বিষয়েও কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিদ্যমান গড়াই নদীর কোল ঘেঁষে নানান রকম সাইনবোর্ড দিয়ে বসানো হচ্ছে স্থাপনা এবং ঘর, দোকান। ঐ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কুষ্টিয়া পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন ভবন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। অতি দ্রুত এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করলে শহররক্ষা বাঁধ যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে বলে পরিবেশ গবেষকরা জানিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে প্রায় ৫ শত ব্যক্তি বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন সেইসাথে উক্ত ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান অন্তরালে চলছে ভয়াবহ মাদক ব্যবসা। তবে নদী দখলদারদের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান।
দখলদাররা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তারা নদী তীরের সীমানা পিলার পর্যন্ত উপড়ে ফেলে দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছেন সেই সাথে বিভিন্ন সাইনবোর্ড ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে বসত বাড়ি। উক্ত বসতবাড়ির মধ্যেই চলছে মাদকের হাট, অন্যদিকে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলো হারাতে বসেছে সৌন্দর্যবর্ধন। এই দখলদারিকে কেন্দ্র করে নদী তীরে বেশ কয়েকবার রক্তা রক্তির ঘটনাও ঘটেছে।
উক্ত এলাকার বাসিন্দা বাপ্পি বলেন, কিছুদিন আগে ওই সকল অবৈধ স্থাপনা নির্মানে বাধা দিতে গেলে আমার ফ্যামিলির চারজন রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে বেডে পড়ে ছিলো। তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ছত্র ছায়ায় থেকে ঐসকল সন্ত্রাসীরা নদীর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি স্থানে বালু মহাল তৈরি করে পুরো চর দখল নিয়ে অবৈধ বালু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে গেছে, সন্ত্রাসী গ্রুপ চক্রের সহায়তায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নদীর কূলে ও চর দখলে মেতে উঠেছে। নানামূখী অব্যবস্থাপনার কারণে পানি প্রবাহ হারানো নদীগুলো এভাবেই দখলে চলে যাচ্ছে। অবৈধ দখলে চলে যাওয়া গড়াই নদীর তীর ও তীরবর্তী অঞ্চল উদ্ধারে সরকারের রাজস্ব বিভাগের তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী এলাকাবাসীর।