সোম মল্লিক, যশোর প্রতিনিধি : যশোরে বেড়েই চলেছে ভেজাল সার কারবারিদের দৌরাত্ম। প্রায় ১শ’ টন নকল সার ও কীটনাশক জব্দ করা হয়েছে। কারখানা মালিককে জরিমানা করা হয়েছে এবং ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
এসময় ভেজাল সার ও কীটনাশক তৈরীর বিপুল পরিমাণ সরাঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে যশোরে ভেজাল সার ও কীটনাশক তৈরি এবং বাজারজাত করণের দায়ে কারখানা মালিক সোহানুর রহমান শিহাব (২৪) কে ৬ মাসের স্বশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদ ও বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মনিম লিংকনের ভ্রাম্যমান আদালত জানতে পারেন যশোর সদর উপজেলার ‘ঘুরুলিয়া গ্রামে সান ওভার এগ্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি’ (সাবেক নাম সুমি এগ্রো কেমিক্যাল) নামে একটি কারখানায় নকল সার ও কীটনাশক তৈরি এবং তা বিপণন করা হয়।
সোর্সের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আদালত সন্ধ্যায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন এবং দেখতে পান, দস্তা সার, টিএসপি সার এবং ফুরাডান কীটনাশক ইত্যাদি কাঠের গুঁড়ো, টাইলসের গুঁড়ো, সিলেকশন বালি, ক্যালসিয়াম কার্বনেট পাউডার স্যান্ড, রঙ ও অ্যাসিড দিয়ে ভেজাল সার তৈরি করা হচ্ছে।
আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে এসময় ভেজাল সার তৈরীর মুল হোতা আনোয়ার হোসেন লাল্টু পালিয়ে যায়। আর ধরা পড়ে তার ছেলে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা শিহাব উদ্দিন। এসময় বা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ (১) ধারায় কারখানায় থাকা বর্তমান মালিক শিহাবকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন।
অভিযানে থাকা যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাজ্জাদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন ভেজাল সার মালিক বা প্রস্তুতকারকদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ওই কারখানা থেকে প্রায় ১শ টন নকল সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য ভেজাল মালামাল জব্দ করা হয়েছে। পরে মালামাল সরিয়ে কারখানা সিলগালা করা হয়।