পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস ও উপসর্গে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ৭৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুর থেকে মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) দুপুর পর্যন্ত তারা মারা যান।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ সোহেল রানা জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৭৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এক দিনে হাসপাতালে করোনা উপসর্গে মারা গেছেন ৪ জন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা আক্রান্তে ২ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৩ জন মারা গেছেন। এছাড়াও আটঘরিয়ায় একজন করোনা উপসর্গে মারা গেছেন।
উপসর্গে মৃতরা হলেন- সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক প্রামানিকের ছেলে মুনু প্রামানিক (৫৬), শহরের গোবিন্দা এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে আবুল বাছেদ (৮২), বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার রতনগঞ্জের গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী কোমেলা আক্তার (২৮), গাছপাড়া নুরপুর মহল্লার মনছের আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৬৫), আটঘরিয়ার মাজপাড়া গ্রামের জয়তুন্নেছা (৭০)।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ২ জন ও উপসর্গে মারা যাওয়া ৩ জনের জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা অংশুপ্রতীম বিশ্বাস জানান, ২৪ ঘণ্টায় পাবনায় ১১৭৬ জনের নমুনায় ৭৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এসময় মারা গেছেন ১ জন। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৮ জনের প্রাপ্ত ফলাফলে মোট শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৯৭৮ জন। মোট মৃত্যুবরণ করেছে ৩৬ জন। সুস্থ্য হয়েছেন ৯ হাজার ১১১ জন। প্রায় সাড়ে ৪ শতাধীক রোগী বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সুস্থ্যতার হার ৮২ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. কেএম আবু জাফর জানান, রোগী অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেই রোগীকে পুরোপুরি চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব। কিন্তু মুমূর্ষু অবস্থায় নিয়ে আসার কারনে অনেক সময়ে রোগী না ফেরার দেশে চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।