মেফতাহুল জান্নাত, গাইবান্ধা থেকে : গাইবান্ধার বোনারপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের পিডব্লিউআই গোডাউন থেকে ৬০ মে.টন ওজনের রেললাইনের ফিস প্লেট চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি যাওয়া সাড়ে ৭ হাজার পিস ফিস প্লেটের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা।
ঘটনা তদন্তে বগুড়ার বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিকেলে স্টেশনের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা
সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাজেদুল ইসলাম গোডাউনের (স্টোর রুম) দায়িত্ব বুঝে নেয়ার সময় চুরির ঘটনাটি নজরে আসে। এসময় রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোনারপাড়া রেলওয়ে (জিআরপি) থানার অফিসার ইনচার্জ দাপস চন্দ্র পণ্ডিত বিডি২৪ভিউজ কে জানান, স্টেশনে আইডব্লিউআই ও পিডব্লিউআই নামে দুটি গোডাউন রয়েছে। এরমধ্যে পিডব্লিউডিআই গোডাউনের দায়িত্বে থাকা সহকারী অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দীপক কুমার সিংহ সম্প্রতি অবসরে যান। তখন থেকে গোডাউনটি তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। গত ২০ জুন গোডাউনের ভিতরে থাকা ফিস প্লেটসহ অন্যান্য মালামাল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পরিদর্শনের পর আবারো গোডাউনটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মাজেদুল ইসলাম গোডাউনের দায়িত্ব বুঝে নিতে গিয়ে ফিস প্লেট চুরি যাওয়ার ঘটনা বুঝতে পারেন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রাথমিক তদন্তে গোডাউন থেকে সাড়ে ৭ হাজার পিস ফিস প্লেট চুরির ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়। ৬০ মে.টন ওজনের ফিস প্লেটের আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ লাখ টাকা।দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ থাকা সত্বেও কীভাবে ফিস প্লেট চুরির ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।লিখিত অভিযোগ পেলে ফিস প্লেট উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাজেদুল ইসলাম বিডি২৪ভিউজ কে জানান, পুলিশ ও আনছার সদস্যরা গোডাউনটি সার্বক্ষণিক পাহাড়া দেয়। তারপরেও কিভাবে বিপুল পরিমাণের ফিস প্লেট চুরির ঘটনা ঘটেছে তা বোধগম্য নয়। এদিকে, রহস্যজনকভাবে ফিস প্লেট চুরির ঘটনাটি তদন্ত করতে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বগুড়ার বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমানকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন।