রিমন পালিত :বান্দরবান প্রতিনিধি: লামা থানা পুলিশের অভিযানে আলীকদম হতে চোরাই মোটর সাইকেল সহ চোর সিন্ডিকেটের ২ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। রোববার (০২ আগস্ট) বিকাল ৬টায় লামা-চকরিয়া সড়কের ইয়াংছা এলাকা হতে লামা থানার পুলিশ তাদের আটক করে বলে জানিয়েছেন, থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
মোটর সাইকেলের মালিক মোঃ ওসমান গনি (৩০) জানান, বড় ভাই মোঃ মোস্তফা বিকেলে তার মোটর সাইকেলটি নিয়ে আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান। বাহিরে গাড়িটি রেখে ঘরে প্রবেশ করলে ৫মিনিটের মধ্যে চোররা তার গাড়িটি নিয়ে উধাও হয়ে যায়। গাড়ি চুরির বিষয়টি সাথে সাথে লামা থানাকে অবহিত করলে লামা থানা পুলিশ আলীকদম-লামা-চকরিয়া সড়কের কয়েকটি স্থানে পাহারা বসায়। পরে লামার ইয়াংছা এলাকা হতে বিকাল ৬টায় দুই চোর সহ মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই বিষয়ে আমরা আলীকদম থানায় চুরির মামলা করা হবে। মোঃ ওসমান গনি আলীকদম সদর ইউনিয়নের চৌমুহনি এলাকার মৃত জাকের হোসেনের ছেলে। চোরাইকৃত মোটর সাইকেলটির নাম্বার কুমিল্লা-হ ১৩-৫৫৭৩।
আটক দুই চোররা হল, ওমর ফারুক (১৯) পিতা- আবুল হাসেম, ওবাইদুল হাকিম পাড়া, ৬নং ওয়ার্ড, চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন, আলীকদম ও মোঃ মোবারক হোসেন (১৫) পিতা- সৈয়দ আলম, মংচ পাড়া, নয়া পাড়া ইউনিয়ন, আলীকদম। আটক চোর ওমর ফারুক পেশাদার গাড়ি চোর সিন্ডিকেটের সদস্য ও মোঃ মোবারক হোসেন মোটর সাইকেল গ্যারেজের কর্মচারী।
চোর মোবারক হোসেন বলেন, মোটর সাইকলেটি চুরির ঘটনায় আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের কাসেম মেম্বার পাড়ার মনুর ছেলে মোঃ বেলাল (১৮) সহযোগিতা করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে সে গাড়িটি নিয়ে আসে। আমি আলীকদম চৌমুহনি হতে গাড়িটি চকরিয়ার হাঁসের দিঘি এলাকায় পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব ছিল। সেখানে আমার থেকে গাড়িটি বুঝে নেয়ার জন্য ওমর ফারুক অপেক্ষায় ছিল। ওমর ফারুকের কাছে আরো ভুয়া মোটর সাইকেলের লাইসেন্স প্লেট পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সংবাদ পাওয়া মাত্র এসআই ইমদাদুল কে সঙ্গীয় ফোর্স দিয়ে পাঠানো হয়। গাড়ি ও আটক চোরদের আলীকদম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল সেখানে হওয়ায় মামলা ও আইনী পদক্ষেপ আলীকদম থানা গ্রহণ করবে।